আগামী ৪ মাস তিহাড় জেলেই কাটবে কেষ্টর? জামিন হল না অনুব্রতের

আগামী ৪ মাস তিহাড় জেলেই কাটবে কেষ্টর? জামিন হল না অনুব্রতের, গরু পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তের জন্য তাঁকে দিল্লিও নিয়ে গিয়েছে ইডি। বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন অনু্ব্রত। আরও চার মাস তাঁকে সেখানেই বন্দি থাকতে হতে পারে। আগামী চার মাসের আগে তিহাড় থেকে অনুব্রতের ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। অনুব্রতের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি বুধবার হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানেই কেষ্টর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৭ জুলাই। ২৭ জুলাই অবধি জেলেই কাটাতে হতে পারে অনুব্রতকে।

 

 

 

 

 

 

 

গরু পাচার মামলায় গত বছর ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই মামলায় আর্থিক তছরুপের তদন্তে নামে ইডি। গ্রেফতারের পর আসানসোলের জেলে ছিলেন অনুব্রত। তদন্তের স্বার্থে ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায়। এর পর তিহাড় জেলেই রয়েছেন কেষ্ট। কিন্তু তিহাড় জেলে থাকতে রাজি নন তিনি। আসানসোলে ফিরে যেতে চেয়ে মামলা করেছেন তিনি। ৩ এপ্রিল রাউস আদালতে ট্রায়াল কোর্টে রয়েছে সেই মামলার শুনানি। আগামী সোমবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত কী নির্দেশ দেয় তার উপরই নির্ভর করবে অনুব্রতের তিহাড়বাস। কারণ বুধবার জামিন হল না অনুব্রতের। ৪ এপ্রিল যদি অনুব্রতের আসানসোলে আসার আর্জি খারিজ হয়, তাহলে আগামী ৪ মাস তিহাড়েই কাটবে অনুব্রতের।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যায় চেষ্টায় উদ্যত যুবকের ৩ মিনিটে বাড়িতে পৌঁছে প্রাণ বাঁচাল…

 

 

বুধবার অনুব্রতের জামিন মামলার শুনানিতে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিট না দেওয়া সত্ত্বেও কেন অনুব্রতকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে সে প্রশ্নও তোলেন অনুব্রতের আইনজীবী। দুপক্ষের মধ্যে সওয়াল জবাবও চলে। সব শেষে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে এ দিনের শুনানিতে ইডি-কে অনুব্রত সংক্রান্ত মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদলত। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের স্ট্যাটাস রিপোর্টের কপি দিতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে ইডি-কে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়াক নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।