আপ-বিজেপির হাতাহাতি! মেয়র নির্বাচন ঘিরে উত্তাল দিল্লির পুরনিগম। মেয়র নির্বাচনের জন্য পুরনিগমের প্রথম অধিবেশন ডাকা হয় ৬ জানুয়ারি। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় আপ এবং বিজেপি সদস্যদের গন্ডগোলের কারণে। দ্বিতীয় অধিবেশন ডাকা হয় ২৪ জানুয়ারি।
এক বার নয়, পর পর তিন বার দিল্লির মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভেস্তে গেল আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জেরে। এর আগে দু’বার মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু যুযুধান দু’পক্ষের হাতাহাতি, মারামারিতে দু’বারই মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার তৃতীয় বার নির্বাচনের জন্য দু’দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট বহালই রইল।
মেয়র নির্বাচনের জন্য প্রথম বার দিল্লি পুরনিগমের অধিবেশন ডাকা হয় ৬ জানুয়ারি। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় আপ এবং বিজেপি সদস্যদের বিক্ষোভের কারণে। দ্বিতীয় বার অধিবেশন ডাকা হয় ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু সে বারও দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জেরে এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর পুরনিগমের ভোট ছিল। দিল্লি পুরনিগম আইন, ১৯৫৭ অনুযায়ী নির্বাচনের পরই প্রথম অধিবেশনেই মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে দু’মাস কেটে গেলেও মেয়র নির্বাচন করতে পারেনি পুরনিগম।
গত ৬ জানুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। গত ৬ জানুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেই অধিবেশনও ভন্ডুল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন – এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সুরক্ষাতেও উইনার্স বাহিনী
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। এর পরই আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে কী ভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাঁদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। যা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত।