এই আবহাওয়ায় রাজ্য়ে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি।২১ জনের মৃত্য়ুর খবর সামনে এসেছে।

এই আবহাওয়ায় রাজ্য়ে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য় দফতরের পরিসংখ্য়ান বলছে, চলতি বছরে, জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের মধ্য়ে রাজ্য়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়বে প্রায় ১৫ হাজার। ২১ জনের মৃত্য়ুর খবর সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এর নেপথ্য়ে রয়েছে ডেঙ্গির কোনও নতুন প্রজাতির দাপট? তা জানতে, নাইসেডের  কাছে, পজিটিভ রোগীদের নমুনা পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য় দফতর। নাইসেডের পাঠানো রিপোর্ট বলছে, এবছর দাপট দেখাচ্ছে, ডেঙ্গির ডেন্ভ্  টু ও ডেন্ভ্ থ্রি স্ট্রেন।মাঝেমধ্য়েই ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি! জল দাঁড়াচ্ছে এখানে ওখানে।

ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। নাইসেড সূত্রে খবর, ডেঙ্গির সাধারণত ৪টি প্রজাতি। তার মধ্য়ে এই দুই প্রজাতি সবথেকে বেশি সংক্রামক। চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত, ১২৪টি ডেঙ্গির নমুনা পরীক্ষা করে নাইসেড। তারমধ্য়ে ৯৩টিতে ডেন্ভ্ থ্রি ও ২৭টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। নাইসেড সূত্রে খবর, গত বছর, মোট ৭১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্য়ে ৩৮১টিতে ছিল ডেন্ভ্ থ্রি ৩১৭ টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মেলে।নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, ‘চারটির মধ্য়ে এই দুটিই বেশি ছড়ায়। কে ভাল, কে খারাপ, সেটা দেখা ঠিক হবে না। এদুটোই বেশি পাচ্ছি। খতিয়ে দেখা দরকার, গতবার যারা থ্রিতে আক্রান্ত, তারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা। এই পরিসংখ্য়ান আমাদের কাছে নেই।’  বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেন্ভ্ টু-র থেকে ডেন্ভ্ থ্রি তুলনামূলকভাবে সামান্য় কম ক্ষতিকারক। তবে, তাকে একেবারেই হেলাফেলা করা যাবে না।

 

 

এদিকে, ডেঙ্গি ভাইরাসের চরিত্রগত কিছু বদল নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তদের মধ্য় একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে যাওয়া। এর ফলে অন্য় রোগকে প্রতিহত করা যাচ্ছে না। ডেঙ্গি রোগীর শরীরে অন্য় অসুখ হানা দিচ্ছে।হঠাৎ করে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মারাত্মক চেহারা নেওয়ায়, প্লেটলেটেরও আকাল দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে সেখানে ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্য়ে ১১ জন শিশু।

 

কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন, যে ডেঙ্গি হতে পারে? 

  • ধুম জ্বরের পাশাপাশি মাথা ও গায়ে প্রচন্ড ব্যথা।
  • ঘন ঘন বমি পাওয়া। শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া।
  • কোনও কোনও ক্ষেত্রে গোটা গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ, চুলকানি।
  • অবস্থা খারাপের দিকে গেলে নাক, মুখ থেকে রক্তপাত
  • এমনকী প্রস্রাব, পায়খানার সঙ্গেও রক্ত পড়তে শুরু করা।