এ বলে আমার, ও বলে আমার! মন্ত্রী যাবেন কার দখলে? তা নিয়ে ধুন্ধুমার ধুপগুড়িতে ( dhupaguri )

এ বলে আমার, ও বলে আমার! মন্ত্রী যাবেন কার দখলে? তা নিয়ে ধুন্ধুমার ধুপগুড়িতে ( dhupaguri )

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
dhupaguri
এ বলে আমার, ও বলে আমার! মন্ত্রী যাবেন কার দখলে? তা নিয়ে ধুন্দুমার ধুপগুড়িতে ( dhupaguri )
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

এ বলে আমার, ও বলে আমার! মন্ত্রী যাবেন কার দখলে? তা ঘিরে দুই নেতার কার্যত হাতাহাতি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ধূপগুড়িতে ( dhupaguri ) আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও, ধূপগুড়ি ( dhupaguri ) পুরসভায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি।

 

মন্ত্রীর কনভয় যখন ধূপগুড়ি চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় আসে সেখানে ধূপগুড়ি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইভান দাস ও ধূপগুড়ি ( dhupaguri ) পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং এর মধ্যে রীতিমতো দড়ি টানাটানি শুরু হয়। পাশেই থাকা সমাবেশ মঞ্চে মন্ত্রীকে আসতে বলেন টাউন ব্লক সভাপতি। কিন্তু নাছোড় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। মন্ত্রীকে আগে পুরসভায় যেতে বলেন তিনি। পাশ থেকে আওয়াজ আসে, ‘আগে এখানে আসতে হবে। এটা দলের প্রোগ্রাম। মঞ্চ করা হয়েছে ধূপগুড়ি বাস স্ট্যান্ডে। আর সেখানেই মন্ত্রী পৌঁছতেই দলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে শুরু হয় বচসা।

মন্ত্রী যখন দলীয় মঞ্চের ঠিক সামনে ঠিক তখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে টাউন ব্লক সভাপতির তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে চোখ রাঙানি দিয়ে একে অন্যকে আক্রমণ করেন তাঁরা। আর গাড়িতে বসে রীতিমতো অপ্রস্তুত মন্ত্রী। রণংদেহী মূর্তিতে একে অন্যকে আক্রমণ করছেন তাঁরা। কে প্রথম মন্ত্রীকে নিয়ে নিজের অনুষ্ঠানে যাবেন তা নিয়েই এই ঝামেলা। দুই নেতার কাণ্ডকারখানায় তখন গাড়িতে ঠায় বসে মন্ত্রী। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি জেলার এই ঘটনায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।

আর ও পড়ুন    সিপিএমের (Cpm) হামলায় আশঙ্কাজনক তৃণমূল নেতা

তবে শেষ পর্যন্ত দুই নেতার ঝামেলার মধ্যে তিনি শেষে সেচ দফতরের বাংলোয় চলে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেখানের মঞ্চে অবশ্য আর দেখা যায়নি ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন ব্লক সভাপতি সহ পুরসভার কাউন্সিলরদের।

যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বলেন,”আসলে খুব অল্প সময়ে দুটো প্রোগাম একই সময় পড়েছে। তাই ওরা দু’জনেই চাইছিল। আমি তাঁদের প্রোগ্রামে আগে যাই। তাই একটু ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল ওঁরা। আমি দুটো প্রোগ্রামেই যোগ দিয়েছি।” সিপিএমের কটাক্ষ আগে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নিক, তারপর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। সিপিএমের ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুকুলেশ রায় সরকার বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী গুনে শেষ করা যাবে না। মন্ত্রী প্রথমবার ধূপগুড়িতে এলেন আর তাঁর সামনে প্রকাশ্যে যেভাবে ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন। এটা থেকেই পরিষ্কার তাদের গোষ্ঠী কতগুলো। তৃণমূল আগে নিজের ঘর গোছাক, তারপর বিরোধীদের তোপ দাগুক।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top