
বিজেপিতে দিলীপ ও শুভেন্দুর সম্পর্কের যে ফাটল রয়েছে সেই ফাটলকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার বড়ো চাল দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী (sivendhu) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপির কর্মীরা দিলীপ (Dilip) ও শুভেন্দুকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত।
সেই ফাটলকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলীপ ঘোষকে (Dilip) নিয়ে যতটা আগ্রহ প্রকাশ করলেন, ততটাই অনীহা প্রকাশ করেলেন শুভেন্দুকে নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই দিলীপ ঘোষের মর্নিং ওয়াক আর শরীরচর্চা নিয়ে প্রশংসা করলেন। এমনকি রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে দিলীপ ঘোষকে নবান্নে চা খাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি।
এমনকী তিনি নিজের বাড়িতে কালীপুজোর আগাম আমন্ত্রণ করেন দিলীপ ঘোষকে, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত দিলীপে (Dilip) আগ্রহ আর শুভেন্দুতে (sivendhu) অনীহা দেখিয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করলেন কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন তিনি ফিরে তাকালেন না শুভেন্দুর দিকে, আর কেনই বা তিনি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এতটা আগ্রহ দেখালেন? এই আমন্ত্রণ আর প্রশংসার পিছনে কি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে?
কোনও সুচতুর রাজনীতির খেলা রয়েছে কি ন আতা নিয়ে চড়ছে জল্পনার পারদ। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক বরাবরই বেশ শীতল। মমতার সমালোচনা করলেও একাধিকবার তাঁদের মধ্যে সৌজন্যের ছবি ফুটে উঠেছে। রাজনৈতিক শত্রুতা দূরে সরিয়ে দুই নেতাকে আগেও সৌজন্য প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। এর আগে অসুস্থ দিলীপের খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। তাঁকে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার পরামর্শও দিয়েছিলেন।
আর ও পড়ুন কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করলেন সুস্মিতা দেব ( Sushmita Dev )
দিলীপ ঘোষ বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা থাকাকালীনও কোনওদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি। বরং বহু ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে প্রতিবাদ না জানিয়ে বিজেপি নিরপেক্ষ থেকেছে। তা সুবিধা করে দিয়েছে তৃণমূলকে। যদিও বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে কোনওদিন তা মানতে চাননি দিলীপ ঘোষ।সেখানে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতি মমতার আগ্রহ এবং শুভেন্দুর (sivendhu) প্রতি অমতার অনীহা ফের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চড়িয়ে দিলো।