সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় দিলীপ ঘোষকে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ট্রেন দুর্ঘটনা, টুইট মুখ্যমন্ত্রীর
যেকোনো দুর্ঘটনা দুঃখজনক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন রেলমন্ত্রী, তার আমলটা আশা করুন কী চলত। এখন অনেক ট্রেন বেড়েছে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে নতুন টেকনোলজি এসেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেললাইন, কিছু না কিছু ভুল ত্রুটি হয়েই যায়। সরকার এটা নিয়ে খুবই সক্রিয়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তবুও যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা দুঃখজনক, সরকারের সেটা নজর দেওয়া উচিত। দেখা উচিত যাতে আগামীদিনে এরকম না হয়।
কেরালা বিস্ফোরণ
বাংলা এই বিস্ফোরণ তো চলতেই থাকে। কেরালায় কিছু বছর ধরে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি খুবই সক্রিয়। সেখানে মৌলবাদ সক্রিয়, সেখানে লাভ জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পিএফআইয়ের মত রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি সেখানে সক্রিয় ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতায় সেটা বন্ধ হয়েছে, কিন্তু সেই মানসিকতার লোকই উৎপাত করছে। কেরালার রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে এগুলো হতে পারছে। যেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা তারা চাইছেন না, এই মৌলবাদী শক্তির সমর্থন নিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন।
মালদার খোলা বাজারে বিশ্ববাংলার ত্রিপল
নতুন কিছু না রেশনের চাল বাইরে বিক্রি হয় ত্রিপল বাইরে বিক্রি হয়, রিলিফ বাইরে বিক্রি হয় এবং বাংলাদেশে চলে যায়। সাধারণ মানুষকে বিতরনের জিনিস কিভাবে খোলা মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে, দুর্নীতি সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। মন্ত্রীরা যদি জেলে যায় তাহলে সাধারণ কর্মীরা তো করবেই।
উত্তর ২৪ পরগনার কাউন্সিলররা ইডির আতশকাঁচে
যারা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তাদেরকে ডেকেছে, বাকিরা ভয়ে ভয়ে রয়েছে। তাদের অবস্থাও বালুর মতো না হয়। এই সার্বিক দুর্নীতি যা বছর বছর ধরে চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে এটা হয়েছে, নয়তো এতটা বারবারন্ত হতে পারে না। শিকড় বাকর কোথায় ছড়িয়ে গেছে এই দুর্নীতির। দুর্নীতিমুক্ত করতে ইডি সিবিআই এর বহুবছর লেগে যাবে কিন্তু মাথাগুলো যেন ছাড়া না পায়।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর মতুয়া ভোট ব্যাংকের কী হবে?
ওখানে যেমন কেষ্টর বিকল্প পুলিশ এখানেও তেমনি আছে। মতুয়া সমাজের মানুষ যেমন সোজা সরল তাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, তাদের জন্য কিছুই করা হয়নি। তাই তারা লোকসভা বিধানসভায় আমাদের দিকে এসেছেন, যোগ্য জবাব দিচ্ছেন। একচেটিয়াভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে, সেটা আর চলবে না।
জ্যোতিপ্রিয় কন্যার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে
কেষ্ট হওয়ার পরে তার মেয়েরও একই গতি হয়েছে, এরা নিজের পরিবারকে এসবের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় ,এরা সবাই সুবিধাভোগী। সরকারি পদ টাকা কোথা থেকে আসে? কেষ্ট মন্ডলের মেয়েকেও প্রাইমারি স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেও স্কুলে না গিয়ে বেতন পেতো। এখানেও তাই হয়েছে। মানুষের সামনে এগুলো প্রকাশ পাওয়া দরকার আছে, তাহলে আগামী দিনে কেউ এরকম করবে না।
টিটাগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত্যু
এইতো চলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে শেয়ার নিয়ে। কেবল পয়সার রাজনীতি। তার জন্য সাধারণ কর্মীরা মারা যায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়। কারোর ক্ষমতা নেই এটাকে আটকানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতের বাইরে চলে গেছে, সরকার দল দুটোই ভগবানের ভরসায় চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্যর
এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাওনা, তিনি যে অপকীর্তি করেছেন, তার দায় তো তাকে নিতে হবে। বারবার শান্তিনিকেতনের উপাচার্যকে আক্রমণ করে রাজনীতি করেন, তারও অধিকার আছে বলার। তার মুখের সামনে আয়না তুলে ধরেছেন।