‘এই পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী ভাবে সম্ভব?’ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের, তৃণমূলের ‘গ্রাম বাংলার মতামত’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গণ্ডগোল সামলাতে পুলিশকে নাজেহাল হতে হয়েছে। একটি দলের কর্মসূচি সামলাতে না পারলে পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে তৃণমূল নেতাদের সুরক্ষা প্রদানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মঙ্গলবার গোঁসানিমারি হাইস্কুলের মাঠ এবং মাথাভাঙা কলেজে তৃণমূলের মতামত গ্রহণের কর্মসূচিতে ব্যাপক অশান্তি হতে দেখা যায়। ব্যালট বাক্স নিয়ে কাড়াকাড়ি, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি,এই দৃশ্য সামনে আসতেই টিপ্পনি করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা।
বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খড়্গপুরের বগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়েও শাসকদল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জোর সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “পাড়ায় পাড়ায় মহিলাদের উপর ধর্ষণ, খুন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ তাঁদের একটা এফআইআর নেয় না। যাঁরা প্রতিবাদ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের উপর লাঠি চালাচ্ছে, কাঁদানে গ্যাস মারছে, তাঁদেরকে কেস দিয়ে জেলে ভরছে।”
কালিয়াগঞ্জ ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “পুলিশ খালি বিরোধীদের আটকাতে ব্যস্ত আর তোলা তুলতে ব্যস্ত। তাহলে এঁরা কী করে সামলাবে। মানুষই এঁদের আর ভয় পায় না। কারণ, এঁরা পুলিশের পোশাক পরে তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন – বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু, বিকল্প রাস্তা কী ব্যবহার করবেন জানেন?
তবে দিলীপের মতে, সামান্য একটি দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যদি এই ধরণের অশান্তি-মারামারি হয়, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে করানোয় বিশাল ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, “TMC পার্টিটা আজ কারও কন্ট্রোলে নেই। যদি পার্টির প্রোগ্রামই শান্তিপূর্ণ না করতে পারে, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী করে হবে?” “এই পুলিশ পার্টির নেতাদেরকে সুরক্ষা দিতে পারছে না, তাহলে আমরা কত ঝুঁকি নিয়ে প্রোগ্রাম করি। আর এই পুলিশ কী করে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে?” এমনকি, “TMC নেতাদের সুরক্ষার জন্যেও সেন্ট্রাল ফোর্সের দরকার আছে। কারণ, এই পুলিশ টাকা তুলতে তুলতে তাঁদের কোনও কর্মক্ষমতা নেই।” বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।