চায়ে পে চর্চায় বর্ধমানে দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চায়ে পে চর্চায় হঠাৎ বর্ধমানে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শহরের জোড়া মন্দির এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বেশ কিছুক্ষন আড্ডা মারেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা, জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা তো কেন্দ্র দিয়েছে, আগে হিসাব দিক টাকার। বয়স হলে মানুষ একটু বুঝে শুনে কথা বলেন যখন কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী তখন তো একটু বুঝে শুনে কথা বলবেন। জঙ্গলমহলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার মানুষ বলেছেন ১০ বছরে আমরা কিছু পাইনি। এবার তিনি বর্ধমানে আসছেন বর্ধমানের লোকরাও বলবেন। বিভিন্ন জায়গায় তার দলের মন্ত্রী,সাংসদ,বিধায়করা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন।
আরও পড়ুন – কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
সবই যদি বিজেপির লোকরাই করে থাকি তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কারা আছে পার্থ,মানিক, কেষ্ট মন্ডলই শুধু কি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আছেন। উল্লেখ্য, আগত পঞ্চায়েত ভোট সেই পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য করে দিদির সুরক্ষা কবচের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা রাজ্যের প্রতিটা ব্লকে, প্রতিটা পঞ্চায়েত স্তরে মানুষের ঘরে পৌঁছে তাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা শুনছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজেপিও। তারাও ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির নেতৃত্ব রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সাথে এবং জেলা নেতৃত্বের সাথে। এদিন দিলীপ ঘোষের ঝটিকা সফরই তার প্রমান। এদিকে আবাস যোজনার দুর্ণীতি খতিয়ে দেখতে জেলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই সময়েই হঠাৎ বর্ধমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির আগমন। দিলীপ ঘোষের আসার মধ্যে অন্য সমীকরণ দেখছে রাজনৈতিক মহল।