BJP একাই পারে তৃণমূলকে হারাতে,কোনও জোটের দরকার নেই বললেন দিলীপ ঘোষ ,সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election 2023)। তার আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন, বিজেপির ভোটারদের একাংশ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। আর তারপর থেকেই তৃণমূল শিবির সরব হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের তত্ত্ব নিয়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবারও বিধানসভায় এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। এবার পাল্টা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, ‘আমাদের কোনও জোটের দরকার নেই। গতবার হিংসার মধ্যেও আমরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের পিছন পিছন সিপিএম-কংগ্রেস গিয়ে মনোনয়ন জমা করেছিল। বিজেপির একার ক্ষমতা আছে এখানে তৃণমূলকে হারানোর।’
যদিও এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি সাগরদিঘির উপনির্বাচনের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘সাগরদিঘিতে ১০ শতাংশ বিজেপির ভোট ঘুরে গেল কংগ্রেসের দিকে। যদি তা না করত, যদি বিজেপি নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারত, তাহলে তৃণমূলই জিতত। তারা নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে চাইছে। তাই কংগ্রেস, সিপিএম-এর সাহায্য লাগবে না, এই কথা তাদের মুখে মানায় না।’
আরও পড়ুন – পুরনো বনাম নতুন পাশ! মিত্র কমিটির কাজে সন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়,
রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। রাজ্য জুড়ে পানীয় জল, রাস্তা থেকে শুরু করে স্কুলে শিক্ষক , হাসপাতালে চিকিৎসক, থানায় পুলিশ নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে। তাই তাঁরা রাস্তায় নামছেন। দিদির কথায় তৃণমূলের নেতারা সুরক্ষা কবচ দিতে যাচ্ছেন। জনরোষে পড়ছেন। কারণ, মানুষের মনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তাঁরা বলতে পারতেন না। নেতারা আসতেন না শুনতে। এখন তাই দিদির দূতেদের পুলিশ নিয়ে যেতে হচ্ছে। যে বা যারা প্রতিবাদ করছে তাদের পেটানো হচ্ছে, যা আমরা টিভিতে দেখেছি। এই যে অসহিষ্ণুতা আর মানুষের প্রতি ব্যবহার এর যোগ্য জবাব পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়ে যাবে।’
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং youtube )