ফের শোকের ছায়া চলচিত্র জগতে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক গৌতম হালদার। শুক্রবার সকালে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কেরিয়ারের শুরুতে সিনেমা পরিচালনার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন গৌতম। চিত্র পরিচালকের প্রয়াণে শোকের ছায়া শহরের শিল্প মহলে।
২০০৩ সালে মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত ছবি ‘ভালো থেকো’। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই ছবিটিই বিদ্যা বালনের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। ছবিটি সেরা অডিয়োগ্রাফি, সেরা সিনেমাটাগ্রাফির জাতীয় পুরস্কার-সহ বিশেষ জুরি পুরস্কারও জিতে নেয়। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় গৌতম পরিচালিত ছবি ‘নির্বাণ’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাখি গুলজ়ার। পাশাপাশি নাট্য জগতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন গৌতম। একাধিক নাটকের নির্দেশক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকটি নির্দেশনা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজের দাম একশো ছুঁই ছুঁই, অস্বাভাবিক বাজারদরে লাগাম টানতে পথে নামলো টাস্কফোর্স
মঞ্চে যে চরিত্রটিতে অভিনয় করে আইকনিক জায়গা পেয়েছেন চৈতি, সেই নাটকটির নাম ‘রক্তকরবী’। তাতে নন্দিনীর চরিত্রে তিনি। এই নন্দিনীকে নিজের মধ্যে অনেক বছর ধরে লালন করেছিলেন চৈতি। পিতার মতো তাঁকে প্রতিপালন করেছিলেন গৌতমই। চৈতী জানান, ”আমি গৌতমদার রক্তকরবীর নন্দিনী। গৌতমদার থেকে পাওয়া এই সুযোগ নিজেকে তৈরি করার পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্য়ায় হিসেবে কাজ করেছে। গৌতমদা বলতেন, রক্তকরবী নানা দলের সঙ্গে হতে পারে, কিন্তু নন্দিনী একমাত্র তুমিই হবে। এটা আমার কাছে খুব বড় পাওনা। আমি শোকস্তব্ধ।”
সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি পোস্ট করেছেন চৈতি। তাতে তিনি লিখেছেন, “গৌতমদা ভাল থেকো… আর নাগাল পাওয়া যাবে না নন্দিনী।” কেবল চৈতি নন, দেবশঙ্কর হালদার অভিনীত নাটকও পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি পোস্ট করেছেন চৈতি। তাতে তিনি লিখেছেন, “গৌতমদা ভাল থেকো… আর নাগাল পাওয়া যাবে না নন্দিনী।” কেবল চৈতি নন, দেবশঙ্কর হালদার অভিনীত নাটকও পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
চৈতী জানান, ”আমি গৌতমদার রক্তকরবীর নন্দিনী। গৌতমদার থেকে পাওয়া এই সুযোগ নিজেকে তৈরি করার পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্য়ায় হিসেবে কাজ করেছে। গৌতমদা বলতেন, রক্তকরবী নানা দলের সঙ্গে হতে পারে, কিন্তু নন্দিনী একমাত্র তুমিই হবে। এটা আমার কাছে খুব বড় পাওনা। আমি শোকস্তব্ধ।”