পুরোহিত ছাড়াই জন্মাষ্টমীতে ঘরে বসে অভিষেক করুন গোপালের , আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপরই রাত জেগে কৃষ্ণ সাধনায় মত্ত হয়ে উঠবে গোটা দেশ। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই জনপ্রিয় উত্সবটি পালন করা হয়। বৈষ্ণবমতে, জন্মাষ্টমীর দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। জন্মাষ্টমী সাধারণত শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের রূপকে কেন্দ্র করে বাড়িতেই কৃষ্ণসেবা করে থাকেন ভক্তরা। শ্রীদ্ভাগবতের তথ্য অনুসারে, কৃষ্ণকে সেবা করার সুযোগ করে দিতে ও প্রভুর ভাবকে জাগ্রত করে ভক্তিমূলক পুজো ও সেবায় জাগ্রত করতেই জন্মাষ্টমীর পুজোর আয়োজন করা হয়।
পুরাণ মতে, লক্ষ্মী-নারায়ণ থেকে রাধাকৃষ্ণ বা বিষ্ণুর ত্রিবিক্রম, নারায়ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে নিষ্ঠা ভরে আচার-বিধি মেনে সপরিবারে সেই বিগ্রহ পুজো করার নিয়ম রয়েছে। তাই এই জন্মাষ্টমীতে পুরোহিত ছাড়াই কৃষ্ণের অভিষেক ও পুজো করতে পারেন ভক্তরা।
কৃষ্ণের পুজো যদি বাড়িতে নিজেই করতে চান, তাহলে মধ্যরাত থেকে নির্জলা উপবাস করা উচিত। শরীর অসুস্থ থাকলে একাদশীর মতো একবেলা উপবাস রাখতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে কীর্তন করা আবশ্যিক। পরিবারের সকলে মিলে হাততালি বা মৃদঙ্গ বাজিয়ে কীর্তন করতে পারেন।শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক যদি বাড়িতেই করতে চান তাহলে ৫টি অমৃত ব্যবহার করে খুব সহজেই কৃষ্ণের অভিষেক করতে পারেন ভক্তরা। দুধ, চিনির জল, দধি, ঘি, মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
আরও পড়ুন – আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলে এখনই করে নিন এই কাজ
অভিষেক করার আগে এই ৫ জিনিস অবশ্যই কাছে রেখে দেবেন। এবার কৃষ্ণের বিগ্রহকে অল্প গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করে সুন্দর ও নতুন পোশাক পরানো উচিত। অভিষেকের পাশাপাশি ভোগ নিবেদন করাটাও রীতি মেনে করা উচিত। কৃষ্ণকে ভোগ রেঁধে সব পদ আলাদা আলাদা পাত্রের নিবেদন করা উচিত। একটি থালায় সাজিয়ে বিগ্রহের সামনে রেখে দিন। এরপর ভোগ গ্রহণ করার জন্য ভগবানকে আমন্ত্রণ জানান। সঙ্গে বাঁ হাতে ঘণ্টা বাজাতে পারেন। শুধু জল দিয়েই নয়, কৃষ্ণের বিগ্রহকে ফুলের পাপড়ি দিয়েও অভিষেক করাতে পারেন। বিভিন্ন রকমের ফুলের পাপড়ি বিগ্রহের উপর ছড়িয়ে দিয়ে অভিষেক করান। এই ফুল প্রসাদ হিসেবে পরিবারের মধ্যে ও ভক্তদের মধ্যে বিলি করতে পারেন।