
বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ( EarthQuick ) কেঁপে উঠলো Philippines। ফিলিপাইন্সের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল পোন্দাগুইতান ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বুধবার রাতে আচমকাই শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়। যার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা দেশে। এদিকে রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
আর ও পড়ুন ; Babul Supriya -কে নিয়ে জল্পনা চড়িয়ে দিলেন BJP নেতা Rudranil
জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টা ৪৬ মিনিট নাগাদ প্রথম কম্পনের তীব্রতা অনূভূত হয় বলে খবর। এদিকে রিখটার স্কেলে সাধারণ ভূকম্পনের ( EarthQuick ) মাত্রা ৫-এর উপরে উঠলেই বাড়ে ভয়। কিন্তু Philippines -এর কম্পনের তীব্র ৭-এর গণ্ডি পার করে যাওয়ায় বাড়তে থাকে উদ্বেগ। গোটা দেশ জুড়েই জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। এদিকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৫ মাইল পূর্বের শহর পোন্দাগুইতানের ৬৫ কিলোমিটার নীচে। এদিকে প্রথম কম্পনের কয়েক মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প হয় বলেও জানা যায়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৮।
আর এতেই আরও বাড়ে ভয়। সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছাসও দেখতে পাওয়া যায়। আর তারপরেই দেরি না করে সুনামি সতর্কতা জারি করে Philippines সরকার। অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস আবার জানাচ্ছে, পোন্দাগুইতান থেকে ৬৩ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরেই ছিল আসল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হলেও আসল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে ফিলিপাইন্সের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি। যদিও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিকপ বলে খবর মিলছে বিভিন্ন সূত্র মারফত।যদিও এই ভূমিকম্পের ফলে মার্কিন উপকূলে সুনামি আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। তবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে আর না গেলে শীঘ্রই ফিলিপাইন্স প্রশাসনের তরফে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভৌগলিকভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ রয়েছে ফিলিপিন্স। ভৌগলিক অবস্থান দেখলে বোঝা যায় এই রিং অফ ফায়ারে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ প্রায়শই লেগেই থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ঠিক এই কারণেই এবারের ভূমিকম্পও মাথাচাড়া দিয়েছে। আর এর ফলে যে সমস্ত দেখ এই অবস্থানে আগে থেকেই রয়েছে সেখানে ভূকম্পন আদপে একটা রোজকার ঘটনা।