শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে ইডি. আজ সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। তার সাথে সাথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে বলাগড়ের আরও এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক জায়গাতে ইডির তল্লাশি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।
কলকাতা হাইকোর্টের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে একাধিক প্রভাবশালীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। আর সেই সমস্ত তথ্যের একাধিক সূত্রে পৌছতেই আজ শুক্রবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। আর সেই মতো হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। যদিও সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সভাপতি। প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট বাড়ির বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় ইডির আধিকারিকদের। এরপর দীর্ঘক্ষণ পর ঘরে ঢোকেন আধিকারিকরা।
যদিও এর আগে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় বলে খবর।জানা যাচ্ছে, ১০ জনের ইডির একটি টিম এই তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর। অন্যদিকে, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, হুগলির যুব নেতা কুন্তলের খুবই ঘনিষ্ঠ বলেও খবর। শুধু তাই নয়, শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে টাকা তোলারও একটা অভিযোগ শান্তনুর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চাইছেন। আর সেই কারনেই এই তল্লাশি বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে।