‘মন্ত্রীর বেআইনি টাকা হ্যান্ডেল করে’, বালিগঞ্জে নগদ বাজেয়াপ্ত করে বিস্ফোরক দাবি ইডির l

‘মন্ত্রীর বেআইনি টাকা হ্যান্ডেল করে’, বালিগঞ্জে নগদ বাজেয়াপ্ত করে বিস্ফোরক দাবি ইডির l

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? জানতে আচমকাই এসএসকেএমেএ ইডি

‘মন্ত্রীর বেআইনি টাকা হ্যান্ডেল করে’, বালিগঞ্জে নগদ বাজেয়াপ্ত করে বিস্ফোরক দাবি ইডির l দক্ষিণ কলকাতার একটি ঠিকানায় (Ballygunge businessman) হানা দিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (ED) যে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সেই খবর দ্য ওয়ালে প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইডি দাবি করল, ওই টাকা একজন প্রভাবশালী নেতার (Political Leader) টাকা। বেআইনি কয়লা কারবার থেকে ওই টাকা রোজগার হয়েছে। আর যার কাছ থেকে এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সে এক মন্ত্রীর বেআইনি টাকা ‘হ্যান্ডেল’ করে।

 

 

 

এই মন্ত্রী কে তা ইডি স্পষ্ট করেনি। তিনি বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের মন্ত্রী তাও জানায়নি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের কাছে বেআইনি লেনদেনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট খবর ছিল। ইডি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, একজন অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কয়লা কারবার থেকে পাওয়া টাকা তাঁর এক শাগরেদ মনজিৎ সিংয়ের মাধ্যমে হাতবদল করতে চলেছেন। এই মনজিৎ সিং কলকাতা ‘জিত্তি ভাই’ বলে পরিচিত।

 

 

ইডির দাবি, আগাম খবর পেয়ে তাঁরা কলকাতার আর্ল স্ট্রিটে গজরাজ গ্রুপের অফিসে ফাঁদ পেতেছিলেন। সেই অভিযানেই ১.৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির আরও দাবি, সালাসার গেস্ট হাউস নামে একটি বাড়ি ৩ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ তার বাজার দাম অন্তত ১২ কোটি টাকা। সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন কম দেখিয়ে আসলে বাকি টাকা নগদে হাতবদল হয়েছে। বাজেয়াপ্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হল সেই বেআইনি লেনদেনেরই অংশ।

 

ইডি জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলিপুর সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে ওই বাড়ি বিক্রির রেজিস্ট্রি হয়েছে। তার পর সন্ধেয় গজরাজ গ্রুপ তথা বিক্রম সাকারিয়ার অফিসে টাকা হাতবদল হওয়ার কথা ছিল। তখনই ধরা পড়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন – হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে যুবকের ঝুলন্ত দেহ, মিলল সুইসাইড নোট

 

কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি দাবি করেছে, গোটা ঘটনার পিছনে বৃহত্তর চক্র কাজ করছে বলে তারা মনে করছে। যে ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সে এক মন্ত্রীর হয়ে টাকা লেনদেন করত।ইডির এই বিবৃতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রভাবশালী নেতা বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছে ইডি, তা স্পষ্ট নয়। এখন দেখার, কালো টাকা উদ্ধারের সূত্র ধরে ইডি কাদের জেরার জন্য ডেকে পাঠায়।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top