বোতলে জল ভরা হত, বিক্রি হত না! ইডি-র কাছে দাবি কারখানার কর্মীদের , হিসাব ধরতে মরিয়া তদন্তকারীরা, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিষ্ণুপুর জল কারখানা থেকে দু’ব্যাগ নথি ও ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ওই কারখানার কর্মীরা ইডি-র কাছে দাবি করেছেন, সেখানে শুধু জল বোতলে ভরে সরবরাহ করা হত। বিক্রি হত না। নিউ আলিপুরের অফিস থেকে আয় ব্যয় হিসেব রাখা হত। তাই হিসাব নেই। তাও সেখানকার আয় ব্যয়ের সব হিসেব খতিয়ে দেখেছেন অফিসাররা। প্রয়োজনে সেই নথিগুলি সংগ্রহও হয়েছে। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সোমবার রাতভর তল্লাশিতে সংস্থার নিউ আলিপুরের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিপুল নথি। উদ্ধার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মউ এবং চুক্তিপত্র। সংস্থার কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নথি। সেই নথি থেকেই হদিশ মিলেছে একাধিক বড় অঙ্কের লেনদেনের এসডি কনসালট্যান্সি ছাড়াও একাধিক নির্মাণ সংস্থার থেকে টাকা ঘুরপথে টাকা ঢুকেছে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের’ অ্যাকাউন্টে।
গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত, এই লেনদেন সন্দেহজনক যে নির্মাণ সংস্থাগুলো থেকে টাকা ঢুকেছে, সেগুলো অধিকাংশই শেল কোম্পানির মতো কাজ করে। ঘুরপথে কাল টাকা ঢুকেছে ইঙ্গিত গোয়েন্দাদের প্রকাশ্যে আসছে একাধিক নির্মাণ সংস্থার নাম ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার প্রাক্তন কিছু ডিরেক্টরের নামে থাকা এক গুচ্ছ কোম্পানির হিসাব তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।
আরও পড়ুন – রাতারাতি আরও বড়লোক গৌতম আদানি! 24 ঘন্টার মধ্যে টপকে গেলেন দুই ধনকুবেরকে
সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুর প্ল্যান্টের দুটি কম্পিউটার ঘেঁটে দেখেছেন অফিসাররা। একাধিক নথি প্রিন্ট আউট করে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন অফিসাররা। জল কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হত, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন তদন্তকারীরা। সংস্থার বছরের আয়ব্যয় কত? সেই হিসেবে নজর ইডি-র। কোনও ঋণ আছে কিনা, থাকলে কোথা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।