পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় পুরনিয়োগের মামলায় এবার ইডির নোটিশ পুরসভাকে। শিরোনাম থেকে যেন কিছুতেই সরছে না পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। পুরবোর্ড দখল নিয়ে নাটকীয়তা তো লেগেই আছে। পুরসভা ভোটে জিতে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। তারপর কংগ্রেসের কয়েকজন কাউন্সিলরের শাসকদলে চলে যাওয়াতে ফের বোর্ড গঠন তৃণমূলের। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির স্ক্যানারে। পুরনিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ঝালদা পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়েছে ইডি। সোমবারই সেই চিঠি এ থেকেসে পৌঁছেছে পুরসভার হাতে। গত বুধবারই চার কংগ্রেস কাউন্সিলর ও এক নির্দল কাউন্সিলকে দলে টেনে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল।
শাসকদল বোর্ড গড়ার পর এবার আবার পুরকর্মী নিয়োগ নিয়ে এবার পুরসভার হাতে নোটিশ ধরালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা ইডি। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যত নিয়োগ হয়েছে, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি। ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, “এক্সিকিউটিভ অফিসারকে চিঠি পাঠিয়েছে। সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা নথি তৈরি করছি।”
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই মানুষের সমস্যা দেখতে রাস্তায় বেরোলেন রাজ্যপাল
ঝালদা পুরসভা সেই পুরসভা, গত কয়েক বছরে যেখানে কোনওভাবেই আর স্থায়ী বোর্ড টেকানো যায়নি। ২০১৪ সাল থেকেই এই ‘ট্রেন্ড’। কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূল, কখনও আবার নির্দলের চেয়ারম্যান। পুরবাসী মজা করে বলেন, ঝালদায় হাত বদলের খেলা চলে। এমনও হয়েছে, এই পুরসভায় একদিনের জন্যও চেয়ারম্যান হয়েছেন। কারও আবার মেয়াদ এক মাস। ইডির নোটিসের কথা শুনে ঝালদার লোকজন বলছেন, নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা করবে কাকে। কবে যে কে পদে থাকে, কেউ বলতে পারে না।
এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, “সোমবারই আমরা ডাকযোগে ও ইমেলে ইডির নোটিস পেয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যত নিয়োগ হয়েছে, তাদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি দিতে হবে। সেই সময় থেকে কারা পুরপ্রধান পদে থেকেছেন, কার্যনির্বাহী অধিকারিক কারা, পুরকর্মচারিই বা কারা, নাম ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে। আমরাও সেই ভাবে প্রস্তুত নিচ্ছি। আগের চিঠিতেও একই তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সেইমতো জানানোও হয়। ফের চিঠি এলো।”