মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কতটা প্রভাবশালী পার্থ? আদালতে কি জানালো ED? প্রায় এক বছর হয়ে গেল জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে জামিনের আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত স্বস্তি পাননি তিনি। চার্জশিট পেশ হয়ে যাওয়ার পর কেন জেলে রাখা হচ্ছে পার্থকে? এই প্রশ্ন তুলে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে বোঝাল, কেন তারা পার্থর জামিন দেওয়া উচিত বলে মনে করছে না। বৃহস্পতিবার ইডি আদালতে বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে ছিল পার্থর জামিন মামলার শুনানি।
পার্থর হাতে আংটির কথাও ছিল ইডি-র যুক্তিতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘অন্য কোনও বন্দির হাতে জেলের মধ্যে কোনও অলঙ্কার থাকে না।’ আরও জানানো হয় যে, এই মামলার প্রত্যেক অভিযুক্তকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে নিয়ে যাওয়া হলেও পার্থর ক্ষেত্রে থাকে বিশেষ গাড়ি। মোতায়েন করা হয় পদস্থ পুলিশকর্তা।
আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এই বড় দুর্নীতির জন্য অন্যতম দায়ী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য ও শিক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্যও পার্থকে দায়ী বলে উল্লেখ করেছে ইডি। আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক পাঠানোর অর্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়া।
জামিনের আবেদনে পার্থর আইনজীবী সওয়াল করেছেন আগেই। এদিন ইডি-র বক্তব্য শুনলেন বিচারক। আগামী সপ্তাহে রায়দান হবে বলে জানা গিয়েছে।
জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি-র আইনজীবী একাধিক যুক্তি দেন এদিন। পার্থ কতটা প্রভাবশালী, সেটাই মূলত বোঝাতে চেয়েছে ইডি।কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছেন, পার্থকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল,তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীকে আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ। ইডি-র পক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, অভিজিৎ ভদ্র ও ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন – দিঘায় এই কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ১২ কোটি টাকা খরচ ,সৈকত শহরের…
গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন,সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছে ইডি।আইনজীবী বলেন,‘পার্থ অসুস্থতার বাহানা করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।আদালতের নির্দেশে পরে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে জানা যায়, তিনি সুস্থ।’