পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির রিপোর্টে

পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির রিপোর্টে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? জানতে আচমকাই এসএসকেএমেএ ইডি

পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির রিপোর্টে , রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত (Recruitment Scam) দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি ও সিবিআইয়ের (ED and CBI) তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক শিক্ষাকর্তা। কিন্তু অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরই ইডি দাবি করেছে, তারা সোনার খনি হাতে পেয়েছে। অয়নের বাড়ি থেকে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই সব থেকেই তাদের সন্দেহ, এই নিয়োগ দুর্নীতি শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, এর জাল আরও অনেক দূর ছড়িয়ে। পুরসভার নিয়োগের (Municipalities Recruitment Scam) ক্ষেত্রেও বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের। ইডির তরফে ইতিমধ্যেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

কোন কোন পুরসভা ইডির স্ক্যানারে রয়েছে, সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে। জানানো হয়েছে, কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, কামারহাটি, টিটাগড়, বরানগর, হালিশহর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, টাকি সহ আরও বিভিন্ন পুরসভার ক্ষেত্রে এই কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। কোন কোন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকার লেনদেন হয়েছে? সেটিরও উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হয়েছে। টাকার বিনিময়ে পুরসভায় এই নিয়োগে একাধিক সরকারি আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতা যুক্ত রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কোনও রাজনৈতিক নেতার নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  তলব পেয়ে ইডির দফতরে হাজির অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি ছেলে এবং দুই…

 

 

 

 

ইডির কলকাতা জোনাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্র যে রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছেন, তাতে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, অয়ন শীল ইডির জেরা স্বীকার করেছে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ২০০ কোটির বেশি অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে। ইডির রিপোর্টে বলা হচ্ছে,শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে অয়ন শীল ও অন্যান্যদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই সময় ডিজিটাল এভিডেন্স-সহ বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি অয়ন শীলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেই সব নথি খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, যে এই কেলেঙ্কারি শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও তা ছড়িয়ে রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top