ইডির চার্জশিটে শান্তনু এবং অয়নের নাম! মোট সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি ,নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শান্তনুকে। ২০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন। শান্তনুর গ্রেফতারির ৫৯ দিন পর এবং অয়নের গ্রেফতারির ৪৯ দিন পর চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সোমবারই আলিপুরের নগর দায়রা আদালতে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মোট সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট ১১৩ পাতার চার্জশিট পেশ করল ইডি। এই মামলার সাক্ষী হিসাবে ৩৪ জনের নাম উল্লিখিত হয়েছে চার্জশিটে।
অন্য দিকে ইডি সূত্রে জানা যায়, অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছে। অয়নের অফিসে থাকা কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করে দেখা যায়, রাজ্যের একাধিক পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রয়েছে কম্পিউটারে। কিছু ফোল্ডারে রয়েছে চাকরিপ্রার্থী এবং প্রাপকদের নামও। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত হাতে লেখা কিছু ‘নোট’ও পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা যায়, তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে থেকে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে, শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু এবং তাঁর সহযোগীরা।
আরও পড়ুন – প্রাথমিকে কী নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই? প্রশ্ন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের
অয়নের গ্রেফতারির পরেই তাঁর বেশ কয়েক জন ‘ঘনিষ্ঠে’র ভূমিকা তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় আসে। এর পরই অয়নের পুত্র অভিষেকের ভূমিকাও নজরে আসে তদন্তকারীদের। অভিষেক এবং তাঁর বান্ধবী ইমন যৌথ মালিকানায় একটি পেট্রল পাম্প কিনেছিলেন বলে হলফনামায় জানিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, কলকাতায় বন্ডেল রোডের উপরে অভিষেক এবং ইমন যৌথ মালিকানায় একটি ফার্ম খুলেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ‘ফসিল্স’। এখনও পর্যন্ত অয়নের নামে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি, প্রায় ২ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ৬৩ লক্ষ টাকার গাড়ির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা।