ব্যারাকপুরের পর হিন্দমোটর!গুলি চলল ব্যবসায়ীর উপর, ব্যারাকপুরের পর হুগলির হিন্দমোটর।রাজ্যে ফের এক ব্যবসায়ীর উপর চলল গুলি!গুলি চালানোর অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।শুক্রবার ভোরে হুগলির হিন্দমোটর ঘোষপাড়া এলাকার গঙ্গার ঘাটের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার(৪০)।আহত অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দননগর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার (সিপি) অমিত পি জাভালগি বলেন,‘‘ব্যবসায়ীর উপর আক্রমণের কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে।পাঁচ-ছ’জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানা গিয়েছে।ব্যবসায়ীর স্কুটি নিয়ে পালিয়েছে ওরা। দুষ্কৃতীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’’দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে l
প্রসঙ্গত,২৪ মে,বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে দুষ্কৃতীদের হাতে ব্যবসায়ী-পুত্র খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। আনন্দপুরীতে মাথায় হেলমেট পরে একটি সোনার দোকানে কয়েক জন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে।বন্দুক দেখিয়ে লুটপাট শুরু করে তারা।ডাকাতিতে বাধা দিলে দোকানের মালিকের পুত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক ডাকাতপরে নীলাদ্রি সিংহ নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।গুলিতে আহত হন আরও দু’জন।তাঁদের ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।ভরসন্ধ্যায় জনবহুল এলাকায় অপরাধের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হুগলির ব্যবসায়ী রাজীবের উপর হামলা চালাল এক দল দুষ্কৃতী।
স্থানীয় সূত্রে খবর,রাজীব পেশায় ডিম ব্যবসায়ী।প্রতিদিন ভোরে ডিমের গাড়ি থেকে ডিম আনতে হিন্দমোটর ঘোষপাড়া এলাকায় যান তিনি।শুক্রবারও ভোর চারটে নাগাদ স্কুটিতে চেপে রাজীব ঘোষপাড়া গিয়েছিলেন।সেখানেই আট-দশ জন দুষ্কৃতী তাঁর ঘিরে ধরে হামলা করে এবং পরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন – অস্বস্তিকর গরমে আগামী এক সপ্তাহ নাজেহাল হবে বঙ্গবাসী,
রাজীবের দোকানের কর্মচারী গৌতম কর বলেন,‘‘ভোর ৪টে নাগাদ দাদা ঘোষপাড়ায় এসেছিল।এখানে ডিমের গাড়ি খালি হয়।কখনও দাদার কাছে টাকা থাকে,কখনও থাকে না।কিন্তু শুক্রবার ভোর বেলা ঘোষপাড়া পৌঁছতেই জনা দশেক দুষ্কৃতী দাদাকে ঘিরে দাঁড়ায়। সকলের মুখেই গামছা ছিল।দুষ্কৃতীদের ছুরির আঘাতে দাদা স্কুটি থেকে পড়ে যায়।দুষ্কৃতীদের মুখ দেখার জন্য টর্চের আলো জ্বালতেই ওরা গুলি চালিয়ে দেয়।দাদা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর দাদার স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’