চিতাদের মৃত্যু থামানো যাচ্ছে না। এবার অষ্টম চিতা সুরজের মৃত্যু হল কুনো ন্যাশনাল পার্কে। ফের একবার কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতার মৃত্যু। শুক্রবার সকালে আফ্রিকান চিতা সুরজের মৃতদেহ উদ্ধার হল কুনোর জঙ্গলে। এই নিয়ে গত চার মাসে অষ্টম চিতার মৃত্যু হল মধ্য প্রদেশের এই জঙ্গলে। যা ভারতের প্রজেক্ট চিতায় এক বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন চিতা বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি বাসাবদল হওয়ার কথা রয়েছে কুনোর চিতাদের। মধ্য প্রদেশের এই জঙ্গলের জল হাওয়ার সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারছে না আফ্রিকান চিতাগুলি। ফলে তাদের ঠিকানা বদল করে রাজস্থান লাগোয়া গান্ধী সাগর অভয়ারণ্যে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার আগেই একের পর এক চিতা মৃত্যু ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদেরও।
কী কারণে এই অষ্টম চিতার মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি কুনো কর্তৃপক্ষ। মাত্র দু’দিন আগেই কুনোর জঙ্গলে মৃত্যু হয় সপ্তম চিতা তেজসের। তার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশু চিকিৎসকরা বলছেন, মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল কুনোর চিতা তেজস। সঙ্গিনী চিতার সঙ্গে সম্প্রতি ঝগড়া লেগেছিল তার। আর সেই মারপিটের পর থেকেই ট্রমাটিক শকে চলে গিয়েছিল চিতাটি। ট্রমা থেকে আর বেরোতেই পারেনি আফ্রিকার এই চিতা। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে,তেজস নামে ওই চিতাটির ফুসফুসে একটি বিরল সংক্রমণ হয়েছিল।যা ক্রমশই বড় আকার ধারণ করছিল। কিডনিতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তার।গলাতেও কিছু আঘাত এবং আঁচড়ের চিহ্ন মিলেছে তেজসের।মনে করা হচ্ছে,সঙ্গীনি চিতার সঙ্গে মারপিটের সময়ই ওই আঘাত লাগে তেজসের।
আরও পড়ুন – তিহাড় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না, কেষ্টর জামিনের আর্জি জানানো হল…
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়া থেকে আনা ২০ চিতার মধ্যে একের পর এক মৃত্যু উদ্বেগে ফেলেছে কেন্দ্রকেও। গত ২৭ মার্চ,সাশা নামে একটি চিতা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে মারা যায়।এরপর ১৩ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা উদয় নামে চিতাটির মৃত্যু হয়।গত ৯ মে,মৃত্যু হয় পুরুষ চিতা দক্ষের।তিন জন ছাড়াও নামিবিয়া থেকে আনা মাদি চিতা জ্বালার চার সন্তানের মধ্যে তিনটি ডিহাইড্রেশনের কারণে মারা যায়।সঙ্গীনির সঙ্গে মারপিট করতে গিয়ে আরও একটি পুরুষ চিতার মৃত্যু হয় কুনোতে।এই নিয়ে পর পর আটটি চিতার মৃত্যু হল কুনোতে। এখন বাকি আর মাত্র ১৬টি চিতা।