‘তৃণমূল চাইছে বোমার রাজনীতি করতে’, বললেন দিলীপ ঘোষ , পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিকালে হুগলি জেলার আরামবাগের মায়াপুর চৌমাথা এলাকায় স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী হেমন্ত বাগ ও অন্য প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেছেন তিনি। পথসভা শেষে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন দিলীপ।
পটনায় বিরোধীদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি দিলীপ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “ওখানে গিয়েছেন পরের মিটিংটা কোথায় হবে তা ঠিক করতে। ভাল হয়েছে। যান, চা খান, ছবি তুলুন, আর চলে আসুন। কারণ সিমলায় যে পরের মিটিং হবে সেটা আমাদের কাছে খবর আছে। এখানে প্রচন্ড গরম। সিমলাতে তাপমাত্রা কম। কীভাবে বৈঠক হবে তার জন্যই গিয়েছেন।আসলে জোট যে কী, খায় না মাখে তা ওরাই জানে না।আমিও তো অনেক সময়ে একসঙ্গে বসে থাকি। টিভির চ্যানেলে গেলে সেখানে একসঙ্গে বসে কুণাল ঘোষের সঙ্গে চা খাই।সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গেও চা খাই।তাহলে কি জোট হয়ে গেল?”
তাঁর নিজের গ্রামে বিজেপির প্রার্থী দিতে না পারার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,“মেদিনীপুরের নব্বই শতাংশ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।তা ভোট প্রচার করতে এলে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পাবেন। খোকা বাবুকে দিয়ে হল না।দিদিকেই পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে নামতে হল?আসলে ঠেলায় পড়লে বিড়ালকেও গাছে উঠতে হয়।”
তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি স্বপন নন্দী বলেছেন,“বিজেপি এখন ভয় পেয়েছে।২০২৪ সালে একটু লাফালাফি করবে। ভোটের পর গর্তে ঢুকে যাবে।আর এখন বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে।তাই এই সব কথা বলছে।ভোটে হেরে গেলে কেন্দ্র দখল করতে পারবে না আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরতেও পারবে না।তখন দেখবেন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে মুখ ঢেকে ঘুরবে।”
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, “যেখানে যেখানে বোমা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো তো টিএমসি নেতার বাড়িতে আছে।মাঠে লুকানো আছে।স্কুলের মাঠে লুকানো আছে। জমিতে লুকানো আছে।তৃণমূলের নেতারা বোমা মজুত করে রেখেছে।আমরা ভাঙড়ে দেখেছি। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। তৃণমূল চাইছে বোমার রাজনীতি করতে।বোমা ফাটিয়ে ভোট করাতে।”