কর্নাটকে সরকার বদলেও স্বস্তি মিলল না! লাফিয়ে বাড়ল বিদ্যুতের খরচ,ভোট প্রক্রিয়া মিটতেই কর্নাটকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রকাশ্যে এল। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মূল্য ৭০ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কর্নাটকের বিদ্যুৎ সংস্থাটি। গত ১০ বছরে এই মূল্যবৃদ্ধি সর্বাধিক বলে খবর। সরকারে এলে, সাধারণ মানুষের উপর থেকে চাপ লাঘব করার জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মুকুব করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। সরকারের প্রথম বৈঠকে তা পাশ করানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কর্নাটকে ফের একবার ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে আম জনতা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাস থেকে বিদ্যুতের এই নতুন মাশুল বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছে। মাশুল বৃদ্ধির কারণ নিয়ে কর্নাটক ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (KERC)-এর তরফে দেওয়া হয়েছে সাফাই-ও। কমিশন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ তৈরির কাঁচামালের দাম ও পরিবহণ খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে উৎপাদনের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে উৎপাদন খরচ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় তারা। এর ফলে ৪ হাজার ৪৫৭ কোটির বেশি টাকা রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তা পূরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে কর্নাটক ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন জানিয়েছে।
এদিকে, বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এর ফলে গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই মাশুল বৃদ্ধির ফলে যেসমস্ত পরিবার মাসে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তাদের প্রতিমাসে অতিরিক্ত ৭০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে।
তবে, নিম্ন আয়ের গ্রাহকদের উপর মাশুল বৃদ্ধির কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কর্নাটক ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (KERC)। এই আয়ের গ্রাহকরা তাঁদের বিদ্যুৎ বিলের উপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকির সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, আগামী দিনে বিদ্যুতের ভর্তুকি প্রদান নিয়ে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন – বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ককে শিক্ষা সেলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি করল…
বিদ্যুৎ পরিষেবাকে GST-র আওতাভুক্ত করায়, বিদ্যুতের বিলের উপর বাড়তি ৫ শতাংশ অতিরিক্তি কর দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এদিকে, কর্নাটকে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা প্রভাব পড়তে চলেছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। এর রেশ কর্নাটকের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।