কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও অত্যাবশ্যক কৃষি পণ্যের রপ্তানী ৪৩.৪ শতাংশ বেশি হয়েছে গত বছরের ন্যায়

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও অত্যাবশ্যক কৃষি পণ্যের রপ্তানী ৪৩.৪ শতাংশ বেশি হয়েছে গত বছরের ন্যায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লী, ১০ অক্টোবর, ২০২০: কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি সত্ত্বেও সরকারের কৃষি পণ্য রপ্তানীর বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগের ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষিপণ্য রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৫৩৬২৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা।

গত বছর এই সময়ে কৃষি পণ্যের রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৩৭৩৯৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে ৪৩.৩ শতাংশ বেশি কৃষি পণ্য রপ্তানী হয়েছে। এরমধ্যে চীনা বাদাম ৩৫ শতাংশ, বীটের থেকে উপাদিত চিনি ১০৪ শতাংশ, গম ২০৬ শতাংশ, বাসমতি চাল ১৩ শতাংশ এবং বাসমতি ছাড়া অন্য ধরণের চাল ১০৫ শতাংশ বেশি রপ্তানী হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানীর হিসেবে ৯০০২ কোটি টাকা বেশি রপ্তানী হয়েছে। মাস ভিত্তিক হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানী হয়েছে ৯২৯৬ কোটি টাকা। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানী হয়েছিল ৫১১৪ কোটি টাকা। অর্থা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় এবছর সেপ্টেম্বরে ৮১.৭ শতাংশ বেশি রপ্তানী হয়েছে। কৃষি ভিত্তিক পণ্যের রপ্তানী বাড়াতে সরকার ২০১৮ সালে কৃষি পণ্য রপ্তানী নীতি ঘোষণা করেছিল। ফলমূল, সাকসব্জি, মশলাপাতি ইত্যাদি অর্থকরী ফসল ক্লাস্টার ভিত্তিক পদ্ধতিতে চাষ করে রপ্তানীর জন্য উসাহ দেওয়ায় যার মূল উদ্দেশ্য। এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এপিইডিএ) আওতায় ৮টি রপ্তানী উসাহকারাক ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এই ফোরামগুলি কলা, আঙুর, আম, ডালিম, পেঁয়াজ, দুগ্ধজাত পদার্থ,বাসমতি চাল এবং বাসমতি ছাড়া অন্য চাল রপ্তানীর জন্য গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার কৃষি ক্ষেত্রের পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি তহবিল ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন…আমার দলিত মেয়েকে ফিরিয়ে দাও , কলকাতায় তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল

এর পাশাপাশি কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর কৃষি পণ্য রপ্তানী এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দ্বিমুখী, সর্বাঙ্গীন নীতি তৈরি করেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top