কাদের হয় ফ্যাটি লিভার , কীভাবে রুখবে?আর হলেই বা কতটা বিপদ? ফ্যাটি লিভার কেন হয় ? কাদের হয় ? মদ্যপান না করলেও কি ফ্যাটি লিভার হতে পারে ? প্রশ্ন অনেক। সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবিপি লাইভ কথা বলেছিল শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে। কারণ ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যার জন্য অনেকটাই দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। লিভারে যখন অতিরিক্ত মেদ জমা হয়ে যায়, তখনই তার কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শুরু হয় হাজারো গোলমাল। প্রথম থেকে চিকিৎসা না করালে ফ্যাটি লিভার সিরোসিস অফ লিভারের কারণও হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রেই ফ্যাটি লিভার (fatty Liver) প্রথম স্তরে কোনও উপসর্গ নিয়ে আসে না। কিন্তু বহুদিন পর হয়ত বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়। হয়ত কারও পেটে জল জমে গেল, কিংবা রক্তবমি হতে শুরু করল। তারপর বিভিন্ন পরীক্ষার পর দেখা গেল, তাঁর ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার ড্যামেজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন – মাঝরাতে বেহালা চৌরাস্তার কাছে একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার মাদক।
কীভাবে ফ্যাটি লিভার থেকে লিভারের ড্যামেজ আটকানো যাবে ? এর প্রথম শর্তই হল ওজন কমানো ও লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করা। এর প্রথম কয়েকটি ধাপ হল –
ওজন নিয়ন্ত্রণে ফ্যাট ও অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে হবে।
কম কম খেতে হবে , বারবার খেতে হবে ।
খাবার থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
তেল ঘি , মাখন, মার্জারিন, মেয়োনিজ, ইত্যাদি দুগ্ধজাত ফ্যাট গ্রহণ করা যাবে না।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
অনেক ওষুধ পাওয়া যায়, যা একসঙ্গে ব্লাড সুগার ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে এনতে হবে।
Alcoholic fatty liver disease : অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি । শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়।লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।
কার্বোহাইড্রেটের পরিমানও কমিয়ে আনতে হবে। ভাত-রুটি ও ময়দা জাতীয় খাবারের বদলে তরি তরকারি, ডাল, ডিম, মাছ খাওয়া যেতে পারে।
প্রথম থেকে চিকিৎসা না করালে ফ্যাটি লিভার সিরোসিস অফ লিভারের কারণও হতে পারে।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )