নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি,২৪ অক্টোবর,২০২০: বর্তমানে নারীরা যেখানে সমস্ত দিক দিয়ে এগিয়ে। পুরুষদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সমস্ত কাজেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। সেখানে দাড়িয়ে পৌরহিত্যের দিক থেকে পিছিয়ে থাকে কি করে। শিলিগুড়ির মাতৃ কুটির মহিলা দ্বারা পরিচালিত একটি সংস্থা।
প্রতিবছর এখানে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে পুরুষ পুরোহিত দিয়েই। তবে যেখানে সব কাজই মহিলারা করে থাকে সেখানে দূর্গাপুজো করার সময় কেন পুরুষ পুরোহিতের ওপর নির্ভর করতে হবে। সেই ভাবনা থেকে মহিলা পুরোহিতের চিন্তাভাবনা। শিলিগুড়িতে মহিলা পুরোহিত দ্বারা সরস্বতী পুজোর পর এবার মহিলা পুরোহিত দ্বারা দূর্গাপুজোর চলটাও শুরু হয়ে গেল। এর আগে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়া বুদ্ধ ভারতী হাইস্কুলে সরস্বতী পুজো স্কুলেরই ছাত্রীকে দিয়ে করানো হয়। এবার মহিলা পুরোহিত দিয়ে দুর্গাপুজো শুরু করল শিলিগুড়ির মাতৃকুটির। অন্যান্য পুজোর মতো দূর্গাপুজো খুব একটা সহজ নয়। নারীরা অনেক কঠিন থেকে কঠিন কাজ করে সফল হয়েছে। তাই দুর্গাপূজা করা থেকে পিছিয়ে আসেননি শিখা চক্রবর্তী। তার বাবা একজন পুরোহিত। ব্রাক্ষ্মন পরিবারে জন্মগ্রহন করার সুবাদে ছোট বেলা থেকেই পুজো পার্বন কিভাবে করতে হয় সবটাই দেখে শেখা। তাই দূর্গাপুজো করতে খুব একটা অসুবিধা বা ভয় কাজ করে নি শিখাদেবীর মনে এমনটাই জানান তিনি।
আরও পড়ুন…বাড়ির মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত এক ব্যাক্তি
কুমারি পুজো থেকে অষ্টমী পুজো সমস্তটাই সেরে ফেললেন অবলীলায়। তাই পৌরহিত্যেও আজ আর নারীরা পিছিয়ে রইল না সেই সুযোগ করে দিল মাতৃকুটির। মহিলা দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটিকে আর নির্ভরশীল হতে হল না পুরুষ পুরোহিতের ওপর। এবার স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপে মহিলা দ্বারা দুর্গাপুজোও সম্পন্ন হওয়ায় পুর্নতা অনুভব করছে মাতৃকুটির সংস্থা।