অভিনব কায়দায় ছিনতাই,গায়ে জ্যান্ত সাপ ছেড়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই,বেহালার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশও,অভিনব উপায়ে লুঠ কলকাতায়।মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বেহালাতে এই ঘটনা ঘটেছে।ধর্মীয় পোশাক পরা চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। সাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে সোনার চেনের পাশাপাশি ওই ব্যক্তির থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন,’ঝুঁকে প্রণাম করার সময় বালতির উপর থাকা একটি কাপড় তারা তুলে ফেলে।উনি তখনই দেখেন যে সেখানে দুটি সাপ রয়েছে।ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা তখন ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা যাবতীয় সোনার গয়না ও টাকা পয়সা দেওয়া জন্য হুমকি দেয়।না দিলে তাঁকে সাপের ছোবল খেতে হবে বলেও ভয় দেখানো হয়।ভয়ে যাবতীয় মূল্যবান জিনিস ওই ব্যক্তি তুলে দেন।সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে গায়েব হয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।’
কলকাতা পুলিশে ডিসি বেহালা সৌম্য রায় এই প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন,’আমরা প্রতারণা করে ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি।সোনার চেন ছিনতাই করা হয়েছে বলেও শুনেছি।অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর,প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁদের অনুমান এই ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য পাচারচক্র রয়েছে।মহারাষ্ট্রের কোনও চক্রও জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন,’তদন্ত চলছে।যে রুট ধরে তাঁরা পালিয়েছে সেখানে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়ছে।আগে যদি কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে,তার খোঁজ নিতে বলা হচ্ছে। আশা করি আমরা অপরাধীদের ধরতে পারব।’
অনির্বাণ দাস(৩৮)নামে ছিনতাইয়ের শিকার ওই ব্যক্তি নিউ আলিপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ হেঁটে নিজে অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক।সেই সময় ধর্মীয় পোশাক পরা ওই চারজন তাঁকে রাস্তার উপর ঘিরে ধরে।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনকে নজরদারির অনুমতি দিল না হাই কোর্ট,
ওই যুবক বলেন,’আমাকে ঘিরে ধরে টাকা দাবি করতে থাকে ওই চারজন।আমি তাঁদের ১১ টাকা দিয়েছিলাম।ওই চার ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি ছিল বেশ কয়েকটি বালতিও ছিল। বালতিকের উপর আমাকে ঝুঁকে প্রণাম করার জন্য বলা হয়।ঝুঁকে প্রণাম করতে গিয়ে ভয়ে আমি শিউরে উঠি।’