ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে চেতলায় হোর্ডিং লাগিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। কিন্তু পুরমন্ত্রীর মেয়ের লাগানো সেই হোডিংয়ে নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। যা ঘিরেই এখন প্রশ্ন। হোর্ডিংয়ে রয়েছে রাহুল গাঁধীর ছবি। তার সঙ্গেই রয়েছে সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার ছবিও। যদিও তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দর্শিনী হাকিম অবশ্য দাবি করেছেন, দলের মুখ হিসেবেই মমতার ছবি দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমর্থনে দক্ষিণ কলকাতার চেতলা ও আলিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে হোর্ডিং দিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী হাকিম। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুনঃ লক্ষের পথে আরও একধাপ সৌরযান আদিত্য এল-১
ফিরহাদ-কন্যা বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে যে হোর্ডিং দিয়েছেন, তাতে তৃণমূলের মুখ হিসেবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ছবি নেই। অথচ হোর্ডিংয়ে কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে দু’জনের ছবি রয়েছে- রাহুল গাঁধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওই হোর্ডিংয়ে জায়গা পেয়েছে বিরোধী জোটে থাকা বাম নেতাদের মুখও। হোর্ডিংয়ে দেখা গিয়েছে ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরির মুখ। রয়েছে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর মতো বাম নেতাদের মুখও। অথচ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বিরোধী জোটে আলোচনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। জোটের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, এমনকি ইন্ডিয়া জোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য়ও তিনি, তাঁরই ছবি হোর্ডিংয়ে না থাকা নিয়ে জল্পনা জোরালো হয়েছে। প্রিয়দর্শিনী হাকিম বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের মুখ, তাঁদের ছবি দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর মুখ ব্যবহার করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির তৃণমূলের সদস্য, যিনি আসন রফা থেকে শুরু করে, যৌথ সভা, প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও হোর্ডিংয়ে নেই কেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা তো চাইছি জোট হোক। তৃণমূল বামেদের হয়ে প্রচার করবে। বাম তৃণমূলের হয়ে লাল লাল লাল সেলাম বলে প্রচার করবে। কিন্তু হচ্ছে কই! ওই জন্য অভিষেকের ছবিও বোধহয় নেই।’
পুরমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের ছবিই দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।’
ওই হোর্ডিংয়ে অবশ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা বঙ্গ সিপিএমের কোনও নেতার ছবি জায়গা পায়নি। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘তৃণমূল রাজ্যের ক্ষেত্রে এসব মানেই না। শুধু নিজেদের স্বার্থে জোট করেছে কেন্দ্রে।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে বিজেপির মতো ভারত মাতা কি জয়ই বলতে চাইছেন। তাই উনি এভাবে চলছেন।’