আবাসনে গাঁজা চাষ করেন হবু ডাক্তারেরা, ‘খদ্দের’ অন্যান্য পড়ুয়া! পুলিশের অভিযোগ, গাঁজা চাষ নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করতেন এক জন ডাক্তারি পড়ুয়া। কৃত্রিম সূর্যালোক ব্যবহার করে তিনি গাঁজা চাষ করতেন। আবাসনে গাঁজার চাষ এবং গাঁজার ব্যবসা করার অভিযোগে ৫ ডাক্তারি পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৪২ হাজার টাকার গাঁজা। কর্নাটকের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে ভিঘনারাজ নামে ডাক্তারি পড়ুয়া ভাড়াবাড়িতে গাঁজার চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি গাঁজার চাষবাস নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছেন। ইন্টারনেটেও এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তার পর অনলাইনে গাঁজার বীজ কিনেছিলেন। বিশেষ রকম বাল্ব ব্যবহার করে কৃত্রিম সূর্যালোকে এই মাদক চাষ শুরু করেন অভিযুক্ত। তাঁর দুই বন্ধু, বিনোদ এবং পন্ডিদোরাই ওই গাঁজা কিনতেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ডাক্তারি পড়ুয়াদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস, গাঁজার বীজ, ইলেকট্রিক ওয়াশিং মেশিন, ৬টি টেবিল ফ্যান, দুটো স্টেবিলাইজ়ার, এলইডি আলো এবং ১৯ হাজার টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু হয়েছে।
কর্নাটক পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ মাদকের চাষ এবং কারবারে যে পাঁচ মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা সবাই একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। এমবিবিএসের শেষ বর্ষের ওই পাঁচ ছাত্রের মধ্যে রয়েছেন ভিঘনারাজ, বিনোদ কুমার, পন্ডিদোরাই এবং অর্পিতা। তাঁরা তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক রাজ্যের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন – মমতা বলেছিলেন মাওবাদী, আজও চলছে মামলা, শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে কি জানলেন…
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার একটি আবাসনে অভিযান চালিয়েছিল কর্নাটক পুলিশ। গুরুপুরা এলাকায় অর্পিতা এবং আব্দুল খয়াম নামে দু’জনকে সন্দেহজনক কাজকর্ম করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। এর পর সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২০ হাজার টাকার গাঁজা। ওই দুই ডাক্তারি পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েক জন অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।