ঘাম জমছে স্ক্যাল্পে? এই টিপস মানলেই গরমে চুল হবে ফুরফুরে , যে হারে গরম পড়েছে তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলতে পারছেন না বঙ্গবাসী। স্বাস্থ্যের খেয়াল যেমন রাখতে হচ্ছে, তেমন ভোগাচ্ছে ত্বকও। আর সেই সঙ্গে সমস্যা বাড়াচ্ছে চুল। গরমের কারণে ভিজে চুল খুলে রাখা যাচ্ছে না। আবার চুল খুলে রাখলেও ঘাম হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ গরমের মধ্যে কাজকর্ম করলে ঘাম জমছে স্ক্যাল্পে। সেই সঙ্গে অল্পবিস্তর খুশকির সমস্যাও রয়েছে। ঘাম ও খুশকি মিলে স্ক্যাল্পে চুলকানির সমস্যাও তৈরি করছে। আর এই সব নিয়ে চুল ও স্ক্যাল্প থেকে দুর্গন্ধ ছাড়ছে। এই অবস্থা থেকে নিস্তার মিলবে কীভাবে?
গরমে চুল খুলে রাখা যায় না। এতে আরও বেশি ঘাম হয়। আর স্ক্যাল্পের চিটচিটে ভাবের কারণে একদিন অন্তরই শ্যাম্পু করতে হয়। তবু স্ক্যাল্প ও চুল থেকে দুর্গন্ধ বেরনো বন্ধ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে নিয়মিত শ্যাম্পু করলে চলবে না। মানতে হবে আরও কিছু নিয়ম। ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও আপনার মাথা থেকে গন্ধ ছাড়তে পারে। তাই শ্যাম্পুর উপর জোর দিন। রোজ শ্যাম্পু করেও যখন সমস্যা মিটছে না, তখন শ্যাম্পু বদলে ফেলুন। ডিপ ক্লেনজ়িং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর।
যেহেতু গরমের কারণে ঘাম হচ্ছে এবং স্ক্যাল্পে তা জমছে তাই চেষ্টা করুন মাথা শুষ্ক রাখতে। শ্যাম্পু করার পর ভাল করে মাথা মুছে নিন। তারপর চুল শুকিয়ে নিন। চুল শুকনো করার পর বেঁধে নিন। এতে ঘাম কম জমবে। তবে, ভিজে অবস্থায় ভুলেও চুল বাঁধবেন না। এতে চুলের সমস্যা বাড়বে। চুল ভাল রাখতে গেলে আপনাকে তার যত্ন নিতেই হবে। নিয়মিত স্পা করলে আপনার চুল ও স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য দু’টোই ভাল থাকবে। কিন্তু সবসময় স্পা করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি স্যালোঁতে গিয়ে স্পা করান তাহলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
আরও পড়ুন – আরএসএস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, জাভেদ আখতারকে সমন পাঠাল বম্বে কোর্ট
চুলে খুব বেশি স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। চুলে ঘন ঘন হিট প্রয়োগ করা, রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করা এগুলো চুলের সমস্যা ও স্ক্যাল্পে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ঠিকমতো শ্যাম্পু করলে এবং এই টিপস মানলেই গরমেও আপনার চুল থাকবে ফুরফুরে। এখন যেহেতু গ্রীষ্মকাল, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে আপনার স্ক্যাল্পেও ঘাম ও তেল জমবে না। জলের পাশাপাশি ডাবের জল ও ফলের রসও পান করুন। আর ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।