বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চল দখলে নিয়ে বেআইনি বহুতলে চললো বন দপ্তরের বুলডোজার। বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চল দখলে নিয়ে বেআইনি বহুতলে চললো বন দপ্তরের বুলডোজার। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বনদপ্তরের সরকারি জমি দখলে নিয়ে বেআইনী ভাবে গড়া দোতলা বাড়ি। পুনরায় গোটা বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের ধাপে ধাপে সার্ভের কাজ চালাবে বনদপ্তর।
বনদপ্তরের সিদ্ধান্তে সমর্থন স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। শুক্রবার সাত সকালে পুলিশ ও বনদপ্তরের ডিভিশনের তরফে বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের ফারাবাড়ি এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবত বন দরদপ্তরের জমির উপর মাথাচাড়া দিয়ে উঠে একটি দোতলা বাড়ি। রীতিমতো বনদপ্তরের দেওয়া সীমানা চিহ্নিতকরণের কংক্রিটের পিলার সরিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তৈরি করা হয় ওই বহুতল।
চার মাস আগে বাড়ির মালিককে বনদপ্তরের তরফে সময় ধার্য করে উচ্ছেদের নোটিশও দেওয়া হয়। তবে বনদপ্তরের নোটিশের পরও কোন হেলদোল করেনি বেআইনি বাড়ির মালিক। এদিন সাত সকালে আদালতের নির্দেশে বনদপ্তরের বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের ডাব গ্রাম রেঞ্জ আপার চান্দ ও শালুগাড়া রেঞ্জের বন কর্মীদের পাশাপাশি ভক্তিনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে ওই বহুতল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আশপাশের স্থানীয়রা জানান আশঙ্কায় বহিরাগত এক ব্যক্তি ক্ষমতার জাহির করে বনাঞ্চলের ওই সরকারি জমি দখলে নিয়ে রাতারাতি বহুতল গড়ে তোলে।
ফারা বাড়ি এলাকার স্থানীয়রা একাধিকবার বহু তলের ওই মালিককে সজাগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এদিন স্থানীয়রা বনদপ্তরের সঠিক সিদ্ধান্ত এর পাশে দাঁড়ন। বনদপ্তরের বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের ডিএফও মঞ্জুলা তির্কি জানান- চার মাস আগে বিষয়টি বনদপ্তরের নজরে আসে। দেখা যায় বনদপ্তরের সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে একটি বহুতল গড়ে উঠেছে। বহুতলের মালিককে চিহ্নিত করে চার মাস আগে নোটিশ পাঠানো হয়।
তিনি লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি এই জমি বনদপ্তরের হয়ে থাকে তবে বনদপ্তর বহু তলের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থার নেওয়ার তা নিতে পারে। জমিটি অন্যান্য জমির সঙ্গে লাগোয়া হওয়ায় কতটা জমি বনদপ্তরের তা চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লাগে। এরপরই ওই বাড়ি সম্পূর্ণ হবে বনাঞ্চলের সরকারি জমির উপর গড়ে উঠেছে তা পরিষ্কার হতেই তা হঠানো হলো। তিনি বলেন বাড়ির মালিক নিজে বিষয়টি বুঝতে পেরে বনদপ্তরের সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছেন। এদিকে বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলে একাধিক জায়গায় এ ধরনের বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। জমি হাঙ্গরদের গ্রাসে চলে এসেছে বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
আর এবারে বন দপ্তরের সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপাচ্ছে বৈকন্ঠপুর বনদপ্তর। ধাপে ধাপে বিস্তীর্ণ বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলে এলাকার পুনরায় সার্ভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এদিন বৈকন্ঠপুর বনদপ্তর এর ডিএফও জানান স্থানীয় এলাকাবাসীদের সচেতন করা হয়েছে যে বনাঞ্চলের সরকারি জমি দখলে নিয়ে বাড়িঘর গড়ে তোলা যাবে না। এমন ধরনের কোনো কাজ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বনদপ্তর।
পাশাপাশি বনাঞ্চল লাগোয়া বন দপ্তরের জমি দখলে নিয়ে বাড়িঘর দোকান পসরা গড়ে তোলা অত্যন্ত বিপদজনক। বৈকন্ঠপুর বনাঞ্চলের বেশকিছু জায়গায় সীমানা নির্ধারণের কংক্রিট পিলার অসাধু উদ্দেশ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পুরো বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুনরায় ধাপে ধাপে সার্ভের কাজ শুরু হবে।সে মাফিক সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া হবে।