ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন,প্রাক্তন TMC সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে,আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন।তার আগেই ত্রিপুরায় বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস।সেই রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশিষ লাল সিং যোগ দিলেন BJP-তে। তবে শুধুমাত্র তৃণমূল নয়,ধাক্কা খেল কংগ্রেসও।হাত ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন সেই রাজ্যের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত ভট্টাচার্য।বুধবার,আশিষ লাল সিং সহ ১০ জন কংগ্রেস এবং তৃণমূল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যোগ দিলেন ত্রিপুরার শাসকদলে।
বুধবার,ত্রিপুরার BJP সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যর উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন আশিস লাল সিং,প্রশান্ত ভট্টাচার্যরা।তাঁদের সঙ্গেই এদিন BJP-তে যোগ দেন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কুহেলি দাস,তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত দেবনাথ, বিশ্বনাথ ঘোষরা।
প্রশান্ত ভট্টাচার্য বলেন,’এখন এই রাজ্যে কংগ্রেস পুরোপুরি CPIM-এর ওপর নির্ভরশীল।এখন তাদের কোন ভবিষ্যৎ নেই।’ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শচীন্দ্রনাথ সিংহ।তাঁর পুত্র আশিসলাল সিংর অভিযোগ,সেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই কারণে সেখানের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা হতাশ।
BJP নেতার দাবি,সেখানে বাম এবং কংগ্রেসের এই জোট এবং আসন সমঝোতাকে ভালো ভাবে নেননি প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীরা। ওই জোট করার পরেই কংগ্রেসের অন্তঃসারশুন্য চেহারা প্রকাশ্যে আসে।সুশান্ত চৌধুরী বলেন,’একটা সময় ছিল যখন ত্রিপুরায় সুখময় সেনগুপ্ত এবং রাধিকা রঞ্জন গুপ্তর মতন নেতাক্রা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।তাঁদের মত অনেক নেতা এবং কর্মী কংগ্রেসের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।কিন্তু এখন এখানেই সিপিএমের কাছে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এখনকার নেতারা CPIM-এর সেই অত্যাচার,তাঁদের দলের ইতিহাসের কথা ভুলে গিয়ে CPIM-এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।এই কারণে মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছেন।’তাঁর দাবি,এখনই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবঙ্গেও।সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষ বুঝতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নমুখী কাজের জন্যই এখানে দ্বিতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছে BJP।আমারা দেখেছিল এখানে বহু মানুষ কংগ্রেস এবং CPIM-এর জোটকে গ্রহণ করেননি।তাই তাঁরা আমাদেরকেই সমর্থন করেছেন।’
আরও পড়ুন – আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাবে অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙা হল , যোগীর…
প্রসঙ্গত,আগেই BJP-তে যোগ দিয়েছেন সেই রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুবল ভৌমিক।ত্রিপুরার খাদ্য এবং খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান,সেখানে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুটি দলই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে CPIMএর সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস।