নিজস্ব সংবাদদাতা ১৪ ডিসেম্বর ২০২০: ফের একবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে চলল গুলি দক্ষিণেশ্বরে বন্ধুর বাড়ি থেকে জলশা সেড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই গোষ্ঠির সংঘষ’।
আহত চার-পাঁচজন। এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা।ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ‘জেড়ে চললো তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি। যদিও গুলির চালানোর ঘটনা অস্বীকার করলো বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। আহত সবাই বেলঘড়িয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে দুই পক্ষই ক্যামেরায় মুখ খুলতে এবং ছবি তুলতে দিতে নারাজ। সোমবার রাতে সেখানে সুরজিত্ ঘোষ নামের এক তৃণমূল নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রও উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরেই এই সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। সুরজিত্ ঘোষের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে মৌসমের দলবল।এলাকায় মৌসমও তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই আচমকা বাঁশ, লাঠি নিয়ে তার ও জন্মদিনে উপস্থিত বাকিদের উপর চড়াও হয় মৌসম, এমনটাই অভিযোগ সুরজিতের। তাদের লক্ষ্য করে অন্তত ৩ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। সুরজিতের বক্তব্য, এলাকায় তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাই এলাকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতেই অনেকদিন ধরে মৌসমের দল তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতদের সবাইকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলঘরিয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রাথমিক তদন্তের পরে অবশ্য গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক গোপাল সাহা জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল হোক, কিংবা যে দলই হোক, যদি কেউ গুলি চালিয়ে থাকে তাহলে তারা রেহাই পাবে না। পুলিশ নিজের কাজ করবে।’ যদিও এই ঘটনা নিয়ে ফের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কামারহাটি এলাকা দিনকে দিন অশান্ত হচ্ছে। গুলি, বোমা চলছে। আর পুলিশ চুপ করে বসে আছে।
আরও পড়ুন…শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তোলাবাজি নিয়ে তৃনমূলের নিজেদের মধ্যেই লড়াই হচ্ছে।’