বলিপাড়ায় এসে নিজেদের নাম পরিবর্তন করেছেন কোন বলি তারকারা? কথায় আছে, ‘নামে কী আসে যায়?’ কিন্তু নামে যে বিস্তর প্রভাব পড়ে তার প্রমাণ বলিপাড়ার তারকারা। বলিউডে এমন বহু তারকা রয়েছেন, যাঁরা অভিনয়জগতে কেরিয়ার শুরুর প্রাক্কালে অথবা জন্মের পর নিজেদের নাম পরিবর্তন করেছেন। অমিতাভ বচ্চন, সানি দেওল থেকে শুরু করে এই তালিকায় রয়েছেন হৃতিক রোশন, কিয়ারা আডবাণী এবং কার্তিক আরিয়ানের মতো তারকা।
বলিউডের ‘শাহেনশাহ’, ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ নামেই অধিক পরিচিত বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। বলি ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ারের পাঁচ দশক কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন অমিতাভ।অমিতাভের আসল নাম ইনকিলাব শ্রীবাস্তব। কবি সুমিত্রানন্দ পান্থ নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। ইনকিলাবের পরিবর্তে তিনি অমিতাভ নাম রাখার পরামর্শ দেন অমিতাভের বাবাকে। বংশ পরম্পরা মেনে পরিবারের সকলে শ্রীবাস্তব পদবি ব্যবহার করলেও অমিতাভের বাবা লেখালেখির সময় ‘বচ্চন’ ছদ্মনামে ব্যবহার করতেন। জন্মের পর শ্রীবাস্তব পদবি থাকলেও স্কুলে ভর্তি করানোর সময় অমিতাভের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন যে অমিতাভের পদবি বচ্চন রাখা হবে। ইনকিলাব শ্রীবাস্তব থেকে তখন জন্ম নিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন।
১১ বছর বয়সে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন তব্বু। তার পর ১৯৯১ সালে দক্ষিণী অভিনেতা ভেঙ্কটেশের বিপরীতে তেলুগু ছবি ‘কুলি নম্বর ১’-এ অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি তামিল, তেলুগু এবং ইংরেজি ভাষার ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তব্বু। ইন্ডাস্ট্রিতে তব্বু নামে পরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম তাবাসসুম ফতিমা হাশমি।
আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের পুত্র সানি দেওল। শতাধিক হিন্দি ছবি রয়েছে তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে। অভিনেতার আসল নাম অজয় সিংহ ধর্মেন্দ্র দেওল।বলি অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের পুত্র টাইগার শ্রফ ২০১৪ সালে অ্যাকশন ঘরানার ছবি ‘হিরোপন্তি’র মাধ্যমে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন।কেরিয়ারের কারণে নিজের নাম পরিবর্তন করে টাইগার রাখেন জ্যাকি-পুত্র। তাঁর আসল নাম জয় হেমন্ত শ্রফ।
বলিপাড়ার প্রথম সারির ছবি নির্মাতা রাকেশ রোশনের পুত্র হৃতিক রোশন বলিপাড়ায় পা রাখেন তাঁর বাবার হাত ধরে। রাকেশ পরিচালিত ছবি ‘কহো না…প্যার হ্যায়’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন হৃতিক। হৃতিকের আসল নাম হৃতিক রাকেশ নাগরথ। কখনও অ্যাকশন হিরো হিসাবে কখনও বা রোম্যান্টিক হিরো হিসাবে নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অজয় দেবগন। ঝুলিতে ১০০টির বেশি ছবি থাকা অজয়ের আসল নাম বিশাল বীরু দেবগন। পেশার খাতিরে নাম বদলে অজয় রাখেন তিনি।
১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাজিগর’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ শিল্পা শেট্টির। শিল্পার আসল নাম অশ্বিনী শেট্টি। ২০১৪ সালে কমেডি ঘরানার ছবি ‘ফাগলি’তে অভিনয় করে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ কিয়ারা আডবাণীর। তবে তাঁর আসল নাম কিয়ারা নয়। অন্য এক বলি অভিনেত্রীর সঙ্গে কিয়ারার আসল নামের মিল রয়েছে। কিয়ারার আসল নাম আলিয়া আডবাণী। পেশার খাতিরে নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন অভিনেত্রী।বর্তমানে উপার্জনের খাতিরে বলি অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ। তাঁর নাম ক্যাটরিনা হলেও আসল পদবি টারকোট। পরে তা বদলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন – কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন পরিণীতি? তারিখ থেকে বিবাহ স্থান, সবটাই প্রকাশ্যে
২০১১ সালে ‘প্যার কা পঞ্চনামা’ ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে বলিজগতে আত্মপ্রকাশ করেন কার্তিক আরিয়ান। এক দশকের মধ্যে বলিপাড়ায় নিজের পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। কার্তিকের সম্পূর্ণ নাম কার্তিক আরিয়ান তিওয়ারি।