শহর থেকে ফের মিলেছে টাকার হদিশ ,করোনা-কালেই বিপুল বিনিয়োগ গজরাজ গ্রুপের l৪ বছরে কলকাতা জুড়ে ৪২ টি প্রজেক্ট,তবে পুরসভা সূত্রে খবর, কোনও বেআইনি নির্মাণ করেনি গজরাজ গ্রুপ। আইন মেনে, সব নথি সময় মতো জমা করেই নির্মাণকাজ করেছে এই সংস্থা।
ফের মিলেছে টাকার হদিশ। নগদের অঙ্ক কোটি ছাড়িয়েছে। কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়েই এই টাকার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে নির্মাণ সংস্থা গজরাজ গ্রুপের মাধ্যমে। কলকাতা জুড়ে একের পর এক প্রজেক্ট রয়েছে ওই সংস্থার। সূত্রের খবর করোনা-কালে একের পর এক নির্মাণকাজ করেছে গজরাজ গ্রুপ। সংস্থার মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে বুধবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তা সত্ত্বেও সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তাই এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে। ৫/এ আর্ল স্ট্রিটে বিক্রম শিকারিয়ার বাড়ি থেকে মোট ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
তবে পুরসভা সূত্রে খবর, কোনও বেআইনি নির্মাণ করেনি গজরাজ গ্রুপ। আইন মেনে, সব নথি সময় মতো জমা করেই নির্মাণকাজ করেছে এই সংস্থা। আরও জানা গিয়েছে, নির্মাণের প্ল্যানিং জমা পড়েছে ২০২০-২১ সালে। সেগুলো অনুমোদন পাওয়ার পর লকডাউন শেষ হতেই কাজ শুরু হয়েছে।
শুধু টাকা নয়, বেশ কিছু ফাইলও উদ্ধার করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা কাণ্ডে যে কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছিল, সেই টাকাই গিয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি ওই ব্য়ক্তির আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছে ফুড চেনের ব্যবসা, রয়েছে একটি ধাবাও। মোট তিরিশটি সংস্থা এই গ্রুপের অন্তর্গত। আপাতত উদ্ধার হওয়া টাকার শিকড় খুঁজতেই তৎপর তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন – এবার প্রকাশ্যে আসল ছবি! ৬০ ছুঁতে চলা ‘পাঠান’কে এখন দেখতে কেমন?
সূত্রের খবর, করোনা কালে বিপুল টাকার প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছে এই গজরাজ গ্রুপ। বিগত বছর চারেকের মধ্যে কলকাতায় অন্তত ৪২ টি নির্মাণকাজ করেছে এই সংস্থা। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
(সব খবর ,ঠিক খয়বর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )