
পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্য চলছিল মধুচক্রের আসর। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা দেখতে সুন্দর হোটেলে এই ধরনের মধুচক্রের আসর জমে ওঠায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। অবশেষে এলাকার মানুষ জড়ো হয় এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার Galsi থানার কুল গড়ে চটি থেকে খানা জংশন এ যাওয়ার রাস্তার পাশে সুন্দর হোটেলে চলছিল একাধিক যুবক-যুবতীদের যাতায়াত। এবং প্লায়িং মহিলাদের ভির। ঘন্টায় ঘন্টায় চলছিল হোটেল ভাড়া দেওয়ার কাজ। অনেকের ভিড় ছিল এই হোটেলে।
বুধবার এলাকার মানুষের বিক্ষোভের জেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং চারজন যুবতীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। যদিও পুলিশ হোটেলের মালিক এবং যারা দালাল চক্রের সাথে যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি সকলেই পলাতক। পুলিশ Galsi -এর হোটেল কে সিল করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে Galsi -এর এই হোটেলে যে সমস্ত যুবক যুবতী মহিলা আসতেন তারা সকলেই বাইরে থেকে যাতায়াত ছিল হোটেলে দালাল মারফত। বহু মহিলা যুবতী উত্তর ২৪পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেমারি এবং বর্ধমান শহর থেকে অনায়াসে যাতায়াত করতেন হোটেলে দেহ ব্যবসায় যোগ দিতে। পুলিশের কাছে দীর্ঘদিন অভিযোগ ছিল।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এবং এদিন অভিযান চালায় হোটেলে।হোটেলের মালিক মজনু মল্লিক বাড়ি মনোহর সুজাপুর গ্রামে। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক হোটেল মালিক।
আর ও পড়ুন ; ২১এর ভোটে হেরেও TMC-কে টেক্কা দিলো CP(I)M, কীভাবে?
তবে ধৃত মহিলা এবং যুবতীরা জানিয়েছেন যে লকডাউন এর কারণে তাদের সংসার চলছিল না। কি করে বেঁচে থাকবে তাই বাধ্য হয়ে ছেলে মেয়েদের মুখে ডাল-ভাত জুটাতে তারা এই অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়েছে।
সকলেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ধৃতদের। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। গলসী থানার পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি আইনের পথে চলবে এবং আমরা বিভিন্ন হোটেলে নিয়মিতভাবে অভিযান চালাবো।