
গঙ্গার (Ganga) ভাঙন অতিষ্ঠ এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক দশক ধরে পূর্বস্থলী এলাকার গঙ্গায় (Ganga) চলছে এই ভাঙ্গন। বাম আমলে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার মানুষ কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। অথচ ভাঙ্গনরোধে রাজ্য সরকার একাধিক কাজ হাতে নিয়েছে। এর আগেও পাথর এবং বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেচ দপ্তর।
বুধবার পূর্বস্থলীর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিক বাগচী জানিয়েছেন যে ভাঙ্গনরোধে ১২ কোটি টাকার কাজ হবে। কাজ শুরু হলে নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের যথেষ্ট উন্নতি ঘটবে চিন্তার হাত থেকে বাঁচবেন। খুব শীঘ্রই বড়োসড়ো ধরনের কাজ শুরু হয়ে যাবে এখানে। আপাতত পাথর এবং বোল্ডার বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে এখানকার ভাঙনের তোড়ে এলাকার মানুষ সর্বস্বান্ত। সিপিএমের আমলে ও বহু মানুষ গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ে বাড়ি জমি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। আমরা বারবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যতটা সম্ভব কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কখনোই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিধায়কের।
এলাকায় ভাঙছে পূর্বস্থলীর ২ নম্বর ব্লকের তামাঘাটা এলাকাসহ ঝাউডাঙ্গা এবং পাটুলি অঞ্চলের ব্যাপক অঞ্চল। তামাঘাটা এলাকায় ভাঙ্গনরোধে বাঁশের খাঁচা এবং বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।
আর ও পড়ুন ‘আফসোস’ শ্রাবন্তীর (Srabonti), অবশেষে ফিরে এলেন নিজের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যে
কালনা মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে পূর্বস্থলী তামাঘাটা এলাকায় বাঁশের খাঁচা এবং বালির বস্তা দিয়ে আপৎকালীন ভাবে মেরামতি শুরু হয়েছে এবং আরো বড়সড় ধরনের কাজ শুরু করব আমরা ঝাউডাঙ্গা ,ছাতনি এবং ন”পাড়ার ভাঙ্গনরোধে।
তৃণমূলের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আরো জানিয়েছে যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আমরা বারবার নজরদারি বাড়িয়েছে এবং মানুষের যাতে সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য আমরা বাঁশের খাঁচা এবং বালির বস্তা দিয়ে মেরামত শুরু করে দিয়েছে এছাড়াও বর্ষা কমে গেলেই আরো বড় ধরনের কাজ হবে ভাঙ্গনরোধে।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে ২৯৭৯ মিটার এলাকায় বড় ধরনের ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে যে নব্বইয়ের দশক থেকে তামাঘাটা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বহু কৃষিজমি এবং বাড়ি রাস্তা বন্যার কবলে বিলীন হয়ে গিয়েছে তাই ঐ সমস্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ চাইছেন ভাঙ্গন রোধে শক্তপোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এছাড়াও মাজিদা ঝাউডাঙ্গা পাটুলি এলাকায় সবথেকে বেশি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা এখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে ভাঙ্গনে দেবনগর গ্রাম ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বারবার ভাঙ্গনের কবলে ভাগীরথী গঙ্গার গতিপথ বিবর্তন হচ্ছে আমাদের দাবি যাতে ভাঙ্গনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ভাঙ্গনের হাত থেকে রেহাই পাব।