
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতাগ্রহণ করে তালেবান। আর তার পর থেকেই আতঙ্ক বাড়ছিল। প্রতিদিনই কাবুল বিমানবন্দরে দেশ ত্যাগে ইচ্ছুক আফগানদের ভিড় বেড়েই চলেছে। তবে গুলির আওয়াজ, ফাইটার বিমানের গর্জনকে পেছনে ফেলে শেষপর্যন্ত ঘরে ফিরলেন গোপালনগরের ( Gopalnagar) ৩ যুবক।
বিধ্বস্ত ‘কাবুলিওয়ালা’র দেশ যেন এখন বিভীষিকার দেশ। তালিবানি (Taliban) দাপটে সাজানো গোছানো কাবুল তছনছ। এমন অস্থিরতা সেই ২০ বছর আগে দেখেছিল আফগানিস্তান (Afghanistan)। অবশ্য তখন সে দেশের এই চেহারা দেখতে পাননি বিদ্যুৎ, পলাশ, প্রবীররা। তবে এবার দেখলেন তালিবানি শাসন। আর সেই দৃশ্য যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না কাবুল ফেরত বনগাঁর তিন যুবক।
আর ও পড়ুন প্রতিদিন কতটুক ভিটামিন সি (Vitamin C) গ্রহণ করা জরুরি?
কাবুলে মার্কিন সেনাদের কোটারিংয়ের কাজে যোগ দিয়েছিলেন গোপালনগর ( Gopalnagar) পাল্লা পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর গ্রামের বিদ্যুত্ বিশ্বাস, পলাশ সরকার এবং রঘুনাথপুরের বাসিন্দা প্রবীর সরকার। কাবুল এয়ারপোর্টোর কাছে মার্কিন সেনা ছাউনিতে তাঁরা কাজ করছিলেন। সোমবার গভীর রাতে তাঁরা ফেরেন গোপালনগরের বাড়িতে।
এদিকে ঘরে ফিরতে চাইলে কোম্পানি মোটা মাইনে দেওয়ার কথা জানায়। বলা হয় ১৫ দিনের জন্য ৫ হাজার ডলার দেওয়া হবে। কিন্তু তাকে গুরুত্ব দেননি ওই তিনজন। ঘরে ফেরার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। শেষপর্যন্ত কাবুল থেকে কাতার হয়ে বাড়ি ফেরেন। তাদের পেয়ে আতঙ্কমুক্ত পরিবারের লোকজন।
সকাল থেকেই তাদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে এলাকার মানুষজন।বাড়িতে ফিরে কাবুলের অভিজ্ঞতা্র বিষয় তারা জানিয়েছেন, এই কদিন প্রবল আতঙ্কের মধ্যেই ছিলেন তারা। প্রায়ই গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। তানিবানের হামলার বিভিন্ন খবর কানেও আসছিল। একসময় মনে হয়েছিল, হয়তো আর বাড়ি ফেরা হবে না। কাবুল পতনের পর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন বাড়ি ফিরে যাবেন। কারণ তালিবান জানিয়ে দিয়েছে ৩১ অগাস্টের মধ্যে সব বিদেশিকে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যেতে হবে।



















