এবার পুজোয় রাজ্যের রাজ্যপালের তরফ থেকেও দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা পুরস্কৃত হতে চলেছে। বাংলার বাঙালিআনাকে সম্মান জানাতেই এমন উদ্যোগ বলে রাজভবন সূত্রের খবর।
সূত্র মারফত জানা গেছে, দুর্গাপুজোর দশমীর দিন বাংলার সেরার সেরা দুর্গাপুজোগুলোকে পুরস্কৃত করবে রাজভবন। সেরা দুর্গাপুজো মণ্ডপকে ‘বাঙালিআনা’ পুরস্কার দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুরস্কারমূল্য ৫ লাখ টাকা! দশমীর দিন এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাজভবন থেকে এই পুরস্কার তুলে দেবেন স্বয়ং রাজ্যপাল। তবে রাজভবন সূত্রের দাবি, এই পুরস্কারের জন্য ব্যয় করা হবে না সরকারি অর্থ।
আরও পড়ুন: সিবিআই ডাকলে তবে যাব, তার আগে মাথা ঘামাচ্ছি না: মহুয়া
ইতিমধ্যে রাজভবনের তরফে ইমেলে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে মনোনয়ন চাওয়া হয়েছে। বাঙালিআনা পুরস্কারের জন্য রাজভবনের তরফে বিচারকমণ্ডলীর তালিকাও ঠিক করা হচ্ছে। তাঁরাই বেছে নেবেন রাজভবনের এবারের ‘বাঙালিআনা’ মণ্ডপকে।
তখতে বসার দু’বছর পর অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’। প্রতি বছরের এবারও পঞ্চমীর বিকেলে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ প্রাপকদের তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্য। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে এবারে ১০৪টি দুর্গাপুজো কমিটিকে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ পুরস্কার দিয়েছে রাজ্য।
তবে রাজভবনের তরফে দুর্গা পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করার ঘটনা এই রাজ্যে এই প্রথম। স্বভাবতই বিষয়টি ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে টেক্কা দিতেই পুরস্কার চালু করছেন বোস। অপর আরেকটি অংশের মতে একসময় বাংলায় কর্মরত ছিলেন কেরালার সিভি আনন্দ বোস। বাংলার সংস্কৃতির প্রতি তাঁর যে আলাদা সম্ভ্রম আছে, সেটা রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে বারেবারে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি সরস্বতী পুজোর দিন বাংলায় হাতে খড়িও নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তাই বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয় বলেই মনে করছে অপর অংশ।
অপর আরেকটি অংশের মতে একসময় বাংলায় কর্মরত ছিলেন কেরালার সিভি আনন্দ বোস। বাংলার সংস্কৃতির প্রতি তাঁর যে আলাদা সম্ভ্রম আছে, সেটা রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে বারেবারে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি সরস্বতী পুজোর দিন বাংলায় হাতে খড়িও নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তাই বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয় বলেই মনে করছে অপর অংশ।