মুর্শিদাবাদে নিহত তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে রাজ্যপাল, মুর্শিদাবাদে সফরে এসে নবগ্রামে খুন হওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। পরিবার সূত্রে খবর, তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন বোস। এর পরেই রাজ্যপালের পরবর্তী গন্তব্য হয় খড়গ্রামের নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি। আনন্দ বোস যখন মুর্শিদাবাদের একাধিক হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছেন, সেই আবহে সকাল থেকে একাধিক অশান্তির ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলায়। শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটের এক দিন আগে মুর্শিদাবাদে গেলেন রাজ্যপাল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ রহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামেন আনন্দ বোস।
বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তোফাপুরে বোমা বাঁধার সময়ে অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় জখম হন দুই ব্যক্তি— আখতারুল শেখ এবং আব্দুল লতিফ। এ ছাড়াও পুলিশ সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে লালগোলা এবং শমসেরগঞ্জ থেকে।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন শুরুর দিনে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শাসক তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মোজাম্মেলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফুলচাঁদের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। যদিও ফুলচাঁদের মৃত্যু কোনও ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নবগ্রাম, খড়গ্রাম ছাড়াও ডোমকল, বেলডাঙার মতো এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বোস।
আরও পড়ুন – ‘সন্দেশখালি ও ক্যানিং থেকে বাছাই করা গুন্ডা আসছে’, সতর্ক থাকার বার্তা শুভেন্দুর…
ঘটনাচক্রে, রাজ্যপালের এই সফরের মধ্যেই রানিনগরের ইসলামপুরে কংগ্রেস প্রার্থীর দাদাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অরবিন্দ মণ্ডল (৪৫)। তিনিও কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে কংগ্রেস প্রার্থীর দাদার উপর হামলা চালায় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যারা জেরেই এই মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের। শাসকদল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রানিনগরেও যেতে পারেন রাজ্যপাল।