স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে বন্দিমুক্তির তালিকা নবান্নকে ফেরত পাঠাল রাজভবন

স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে বন্দিমুক্তির তালিকা নবান্নকে ফেরত পাঠাল রাজভবন। নয়া সংঘাতের আবহে ফেরত পাঠাল রাজভবন, রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের ফের সংঘাতের আবহ। শিক্ষা, রাজনীতির পর এবার রাজ্য-রাজভবনের নয়া তরজার আবহ। ১৫ অগস্ট বন্দিমুক্তির যে তালিকা, তা নবান্নকে ফেরত পাঠাল রাজভবন। ১৫ অগস্টের জন্য পাঠানো তালিকা ত্রুটিমুক্ত নয় বলে মনে করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই এই তালিকা নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। কীসের নিরিখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল বোস।

 

 

 

 

 

 

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ, সবক্ষেত্রেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে এক্তিয়ারের প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। একইসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নিরপেক্ষতাকেও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে তারা। ভোটের সময় রাজভবনে পিস রুম খুলেছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি রাজভবনে অ্যান্টি কোরাপশন সেল খুলেছেন তিনি। দুর্নীতি দমনে কোনওরকম আপস নয় বলে বারবার যখন সরব হচ্ছেন রাজ্যপাল, রাজ্যের শাসকদল তখন তাঁর এই সিদ্ধান্তগুলির পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই এবার বন্দিমুক্তি নিয়ে নতুন তরজার আবহ।

 

 

 

আরও পড়ুন –  বেহালার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য, এবার ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে ময়দানে একসঙ্গে…

 

 

 

 

স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে বন্দিমুক্তির একটি তালিকা তৈরি করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে ওই নামের তালিকা তৈরি হয়। সাধারণত ১৫ অগস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি জেলে থাকা দীর্ঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আচার আচরণ দেখে এই তালিকা তৈরি হয়। কারা দফতর, স্বরাষ্ট্রদফতর, আইন, বিচার ব্যবস্থা দফতরও থাকে। মোট চারটি দফতর মিলে সব খতিয়ে দেখে এই তালিকা তৈরি করে। এরপর তা রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এবারও সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। রাজভবন সূত্রে খবর, কীসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছে তা জানতে চেয়ে ফাইল ফেরত পাঠিয়েছেন।

 

( সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )