ভাঙড়ে জয়ী আইএসএফ প্রার্থীর বদলে পরাজিত প্রার্থীকে বোর্ড গঠনের ডাক, ভাঙড়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে জয়ী প্রার্থীকে না ডেকে পরাজিত প্রার্থীকে ডাকার সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিংহ ভাঙড়ের ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের বৈঠকে বিজয়ী আইএসএফ প্রার্থীকে ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আইএসএফের প্রার্থী ছিলেন বসিরুদ্দিন। তিনি ৫৯৫টি ভোট পেয়েছিলেন। ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা পেয়েছিলেন ৩৮৭টি ভোট। আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিনকে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জয়ী প্রার্থী হিসাবে তাঁকে শংসাপত্রও দেওয়া হয়। আগামী বুধবার দুপুর ১২টায় ওই সদস্যদের শপথগ্রহণ এবং বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যকে ডাকেন। আইএসএফের অভিযোগ, সেই ১৮ জনের মধ্যে জয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিনের পরিবর্তে নাম রয়েছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখেরের।
মামলকারী বসিরুদ্দিনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বসিরুদ্দিনকে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দেওয়ার পরেও ওই আসনের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে কী ভাবে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকতে পারেন বিডিও? পুরো বিষয়টিতে বিডিও-র ভূমিকাও তদন্ত করে দেখার আর্জি জানানো হয়। সোমবার সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ।
আরও পড়ুন – কলকাতায় কোনও পড়ুয়া চাইলে প্রথম ভাষা বাংলা নিতে পারেন, দার্জিলিঙে নেপালি, জানালেন…
আইএসএফ অভিযোগ করেছিল, শাসক তৃণমূলের প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বোর্ড গঠনের জন্য ডেকেছেন ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিডিও। অথচ ডাক পাননি তাদের জয়ী প্রার্থী। কলকাতা হাই কোর্টে ওই বিডিওর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আর্জি জানান জয়ী আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।
(সব খবর , ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)