মোদীর ডিগ্রি দেখতে চেয়ে আদালতের জরিমানার মুখে কেজরীওয়াল ,২৫ হাজার জরিমানা গুজরাত হাই কোর্টের, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। শুক্রবার, গুজরাত হাই কোর্ট মুখ্য তথ্য কমিশন (সিআইসি)-এর নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। কেজরীওয়াল সিআইসির কাছে মোদীর বিএ এবং এমএ পাশের শংসাপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে সিআইসি প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই শংসাপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয়। তার বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিল গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। নির্বাচনী হলফনামায় নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।
২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনে দায়ের হওয়া একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইসি পিএমও, গুজরাত এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদীর স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য তলব করে। সিআইসির নির্দেশের বিরোধিতা করে গুজরাত হাই কোর্টে যায় গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী হলফনামায় মোদী জানিয়েছেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।
গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একক বেঞ্চ শুক্রবার সিআইসির নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির শংসাপত্রের বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার জন্য কেজরীওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা জমা করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন – সপ্তম “ভারত গৌরব” ট্রেন ছাড়বে কলকাতা স্টেশন থেকে।
আদালতের রায়ের কথা শুনে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘দেশের মানুষের কি জানার অধিকার নেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কতটা শিক্ষিত? ওরা আদালতে ডিগ্রি দেখাতে এত আপত্তি করছেন কেন? যে ব্যক্তি ডিগ্রি দেখতে চাইলেন, তাঁকেই জরিমানা করা হল? কী হচ্ছে এ সব! একজন অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য বিপজ্জনক।’’