আস্ত ব্যালট চিবিয়ে খেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী!খোলা চ্যালেঞ্জ প্রার্থীর,’পেটে ব্যালট আছে কিনা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হোক…’,ব্যালটে ‘ভুড়িভোজ’!কিন্তু, যাবতীয় আয়োজন সবই মাটি! কারণ পুনর্নির্বাচন হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার ভুরকুণ্ডার ৩১ নম্বর বুথে।অভিযোগ উঠেছিল,CPIM প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার চার ভোটে জয়ী হতে চলেছে তা বুঝতে পেরেই সটান ‘কচর মচর’ করে চিবিয়ে আস্ত ব্যালট খেয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি।এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।এদিকে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণার পর কার্যত খুশিতে ডগমগ বাম প্রার্থী।কিন্তু, তাঁর থেকেও খুশি স্বয়ং মহাদেব! তিনি জানান,মাথায় লাগা ‘কলঙ্কের দাগ’ সারাজীবনের মতো মুছে ফেলতে চান তিনি।তাই এই পুনর্নির্বাচনটা তাঁর জন্য বহু কাঙ্খিত।
কী ভাবে ‘গপাগপ’ ব্যালট খেলেন মহাদেব?
বাম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন,“কাউন্টিংয়ের পর আমি চার ভোটে জিতেছিলাম।মহাদেব মাটি বারন্দায় ছিলেন। ওর এজেন্ট চোখের ইশারায় ফলাফল বলে দিয়েছিল।তা বলার পরেই ও মূল দরজা দিয়ে ঢুকে বান্ডিল তুলে চেবানো শুরু করল। সেখানে BJP প্রার্থীও ছিলেন।আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন ওর পরনে সবুজ পাঞ্জাবি ছিল।পরে পোশাক বদলে একটা সাদা মাটা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ও ঢোকে।”
রবীন্দ্রনাথের হালকা রসিকতা,“এই বার ওঁকে ভালো করে খাওয়া দাওয়া করিয়ে কাউন্টিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।কারণ আবার হয়তো ব্যালট খেতে শুরু করবে।”পালটা জবাব হাজির করেছেন মহাদেবও।তিনি বলেন,“আমি তো খাবার দাবার খেয়েই বাড়ি থেকে বার হই।যে যাই বলুক,আমি কোনও ব্যালট খাইনি।” এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাতেও হইচই পড়ে গিয়েছে।তাঁরা অবাক।মহাদেব মাটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে,নতুন করে মহাদেব এবং রবীন্দ্রনাথ যুদ্ধে কে জয়ী হবেন?সেই দিকেই এখন সব নজর।
আরও পড়ুন – ভোটে হারার ভয়ে ব্যালট চিবিয়ে খেলেন তৃণমূলের মহাদেব! সিপিএম প্রার্থীর মাথায় হাত
ঠিক কী বলেছেন ‘ব্যালট ভোজন’-এ অভিযুক্ত মহাদেব?
তিনি এই সময় ডিজিটালকে বলেন,“বলছে আমি নাকি ২৫টা ব্যালট খেয়ে ফেলেছি।এত ব্যালট খেতে তো সময় লাগবে!আমার পেটে ব্যালট রয়েছে কিনা তা আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা হোক। আবার ভোট হোক।১০০ শতাংশ জিতব।অনেক বেশি ভোটে জিতব।” তিনি আরও বলেন,”কেউ আমাকে ব্যালট পেপার খেতে দেখেনি। প্রমাণ করতে পারবে না।”লোকে যে যা বলুক তাঁর পরিবারের সদস্যরা পাশে রয়েছেন বলেও দাবি মহাদেব মাটি।