নিজস্ব সংবাদদাতা ৩ নভেম্বর ২০২০উত্তর দিনাজপুর:করোনা আবহে চীনা এলইডি বাতির চাহিদা কমে যাওয়ায় দীপাবলিতে মোমবাতি শিল্প ভালো হওয়ার আশায় খুশী রায়গঞ্জের কারখানার মালিক থেকে শ্রমিকেরা। দীপাবলির আগে ব্যাপক ব্যস্ততা রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি তৈরির কারখানায়।
কয়েক বছর ধরে চীনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল দীপাবলির মোমবাতি। গৃহস্থরা বাড়িতে বাড়িতে কম খরচে এলইডি লাইট লাগিয়ে উদযাপন করছিলেন দীপাবলির আলোর উৎসব কিন্তু এবছর করোনার কারনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দীপাবলির মোমবাতি শিল্প। সাধারন মানুষ চীনা বাজারের এই এলইডি লাইটকে এবার প্রায় বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চাহিদা বাড়ছে দীপাবলির মোমবাতির। রায়গঞ্জের মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক সুধাংশু সাহা জানিয়েছেন, করোনার পর সরকার চীন থেকে আসা ইলেক্ট্রিকের বিজলি বাতি, টুনি বালব সহ এলইডি লাইট আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং সাধারন মানুষও চীনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের ব্যাবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাদের কারখানার উৎপাদিত মোমবাতির চাহিদা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মোমবাতি পাইকারি ক্রেতারা এবছর প্রচুর পরিমানে দীপাবলির মোমবাতি অর্ডার দেওয়ায় এবার দীপাবলিতে মোমবাতির ব্যাবসা বাড়বে বলে আশা তাদের। গত বছরের তুলনায় এবছর দীপাবলির মোমবাতির চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে কারখানার শ্রমিকেরা তৈরি করে চলেছেন দীপাবলির মোমিবাতি। করোনা আবহে যেখানে অন্যান্য ব্যাবসা সেভাবে লাভজনক না হলেও চীনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশীয় মোমবাতির ব্যাবসায় আগের বারের চাইতে অনেক বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক ও মোমবাতি ব্যাবসার সাথে যুক্ত ব্যাবসায়ীরা।
আরও পড়ুন…চুরি হওয়া রেলের জানালা দরজা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
এবছর দীপাবলির রাতে গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে মোমবাতির প্রজ্জ্বলিত শিখা জ্বালানোর জন্য কারখানাগুলিতে তৈরি করা হচ্ছে ডিজিটাল মোমবাতি।