এখন মানুষের শরীরে হার্ট অ্যাটাকের প্রবনতা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। আইসিএমআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে ২৮ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের ফল। হৃদযন্ত্রে কোনও রকম জটিলতা তৈরি হলে, তা আগাম জানান দেয় শরীর।
বর্তমান যুগের ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব, জাঙ্ক ফুড, ধূমপান ও অ্যালকোহলের মতো অভ্যাস যৌবনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াছে। হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দেয়, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ জল নামলেই শুরু হবে কাজ, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিতে আশ্বাস পার্থর
জেনে নেয়া যাক লক্ষণগুলো:
- শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে আসলে দ্রুতই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হৃদযন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা হলে, ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
• কোনও কারণ ছাড়াই ঘাম হচ্ছে? একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেন পায় না। তাই এমনটা হতে পারে।
• যদি মাঝরাতে হঠাত্ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তাহলে আর অবহেলা করা যাবে না।
• বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিত্সককে জানান।
• মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আলাদা। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
কীভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর রক্তের কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতায় ভুগছেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানান, হার্ট অ্যাটাক এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কোলেস্টেরল বজায় রাখুন। কোলেস্টেরল বজায় রাখুন। হার্ট অ্যাটাক এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যোগব্যায়াম এবং কিছু কার্ডিও অ্যাক্টিভিটিও করতে হবে। বয়স বা পারিবারিক ইতিহাসের মতো কারণগুলি পরিবর্তন করা যায় না, তবে অন্যান্য কারণগুলি নিয়ন্ত্রণ কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যোগব্যায়াম এবং কিছু কার্ডিও অ্যাক্টিভিটিও করতে হবে। বয়স বা পারিবারিক ইতিহাসের মতো কারণ গুলি পরিবর্তন করা যায় না, তবে অন্যান্য কারণগুলি নিয়ন্ত্রণ করলে রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।