সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা। তার দাবি ছিল, সংবাদ মাধ্যমের জন্য কোনো কিছুই গোপন থাকছে না তার। মিথ্যা হোক বা সত্যি সমস্ত কিছুই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত করা হচ্ছে। আর যার মধ্যে বেশিরভাগটাই অর্ধ সত্য। এর কারনে, তার নিজস্ব জিবনে প্রভাব পরছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফ থেকে সওয়াল করা হয়েছিল, ভারতীয় নাগরিক না হয়েও কীভাবে তিনি এই মামলা দ্বারস্থ করতে পারেন? বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। সেই সঙ্গে এদিন রুজিরার আইনজীবিকে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, কেন আদালত অবমাননার মামলা করছেন না?
আরও পড়ুনঃ বিয়ে করছেন সন্দীপ্তা, কবে, জানুন
রুজিরার এই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, “একটা সাংবিধানিক আদালত যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে থাকে তাহলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল ব্যবস্থা নয়। তবে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালান্স থাকা উচিত। সেটা দেখতে হবে।”
অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের নাগরিক হয়ে কীভাবে রুজিরা নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবি জানাতে পারেন, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য -এর দাবি, বে রুজিরা নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবি জানাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ নিয়ে একজন বিদেশি আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন, কিন্তু তাঁর নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবি আযৌক্তিক। কারণ তিনি এই দেশের নাগরিকই নন।”
তিনি আরও জানান, সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে বলে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তাতে কোনওভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। রুজিরার দায়ের করা মামলায় তাঁর পুরো পরিবারকে কেন রক্ষাকবচ দেওয়া হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাগরিক অধিকারের দাবিতে মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা। এক্ষেত্র, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ আইনের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও মানুষকে তার জীবনের অধিকার বা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। উক্ত মামলায় সেই অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেছেন রুজিরা। এ ক্ষেত্রে সিবিআই সওয়াল করেছে, নিজেকে থাইল্যান্ডের নাগরিক বলে পরিচয় দেওয়া রুজিরা ভারতীয় সংবিধান অনুসারে রক্ষাকবচ চাইতে পারেন না। উল্লেখ্য, বুধবারই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রুজিরার।