বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে কড়া বার্তা বিচারপতির , বললেন ‘রাজস্থান পারলে এ রাজ্য নয় কেন?’, শিক্ষা যাতে বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে আগেও কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বেসরকারি স্কুলে লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি নিয়ে আগেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একাধিকবার। এবার রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি। বেসরকারি স্কুল কত ফি বাড়াবে, কখন বাড়াবে, সে সব দিকে কেন নজর নেই রাজ্য সরকারের? সেই প্রশ্নই হাইকোর্টে তুলেছেন বিচারপতি। গাইডলাইন তৈরি করার কথাও বলেছেন তিনি। করোনাকাল থেকেই বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও টিউশন ফি-র বাইরে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়।
আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, এমন কোনও গাইডলাইন নেই। বিচারপতি আরও বলেছেন, বোর্ডগুলিকে ইন্সপেকশন করতে বলবেন তিনি। সরকারি স্কুলে যেমন অযোগ্যরা বাদ পড়েছেন, এই বোর্ডগুলির ক্ষেত্রেও সেভাবেই অযোগ্য শিক্ষকদের বাদ পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সোমবার বেসরকারি স্কুল গুলির ফি নিয়ে বিচারপতির একাধির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। তিনি প্রশ্ন করেন, ফি বৃদ্ধির বিষয়ে রাজ্যের কোনও নজরদারি আছে? অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে বিচারপতি বসু বলেন, ‘অন্যান্য রাজ্যে দেখেছি ফি সংক্রান্ত নীতি নিয়ে রাজ্যের নিজ্বস্ব আইন আছে। এ রাজ্যে কি এই ধরনের কোনও গভর্নিং বডি আছে, যারা ফি কতটা বাড়ানো হবে সেটা দেখে? ফি স্ট্রাকচার কেমন হবে, তা নিয়ে কোনও গাইডলাইন নেই কেন?’ সরকার কি আদৌ তেমন কোনও প্রস্তাব দিয়েছে? এই প্রশ্নও তুলেছে কোর্ট।
আরও পড়ুন – শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্বে এবার শোভনদেব, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে রয়েছেন কারা? কী নির্দেশ দেওয়া…
বিচারপতির পরামর্শ, এরকম একটা গাইডলাইন থাকা দরকার। বেসরকারি স্কুলের পছন্দ হোক বা না হোক এই গাইডলাইন থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘রাজস্থান করতে পারলে এরাজ্য নয় কেন?’ ‘বেসরকারি স্কুল প্রফিট মেকিং বিজনেজ হতে পারে না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।