শাহিদ কপূর কেন সন্তানদের বলিউডের জাঁকজমক থেকে দূরে রাখেন?

শাহিদ কপূর কেন সন্তানদের বলিউডের জাঁকজমক থেকে দূরে রাখেন?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শাহিদ কপূর কেন সন্তানদের বলিউডের জাঁকজমক থেকে দূরে রাখেন?অভিভাবক হিসাবে সন্তানকে বড় করে তোলার দায়িত্ব মা-বাবা দু’জনেরই। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে গিয়ে নানা রকম সমস্যা মুখে পড়তে হয় তাঁদের। দূর থেকে বিখ্যাত সব মা-বাবাকে দেখে অনেকে সময়েই মনে হয় তাঁদের জীবন খুব মসৃণ। আদতে কিন্তু তেমনটা নয়, প্রতিনিয়ত নিজেদের আলোর বৃত্তে রাখার চেষ্টা যেমন থাকে, পাশাপাশি সেই আলোর ছটা যেন কোনও ভাবেই সন্তানদের অন্য পথে চালিত না করে, সে চিন্তাও থাকে। বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা শাহিদ কপূর এবং স্ত্রী মীরা রাজপুতও সে বিষয়ে সচেতন।

 

 

 

মেয়ে মিশা এবং ছেলে জ়েনকে সহজ ভাবে বড় করে তুলতে তাঁরা কোন সূত্র মেনে চলেন? সন্তানদের খ্যাতির আলো থেকে দূরে রাখতেই কি সম্প্রতি মুম্বইয়ে একটি বাড়ি কিনেছেন অভিনেতা? শাহিদ বলেন, “শুধু সন্তানদের জন্য এই বাড়ি করার কথা ভাবিনি। আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই ছোট্ট একটি বাড়িতে থাকতাম। আমার গোটা পরিবারের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর তা ছাড়াও এই জায়গাটা আমাদের খুব পছন্দ হয়েছিল।”

 

 

অন্যান্য তারকা-সন্তানদের মতো আলোর বৃত্তের কাছে না আসতে দেওয়াও কি সে কারণেই? ‘ফারজ়ি’-র অভিনেতা বলেন, “সন্তানদের স্বাভাবিক জীবন দেওয়া আমার দায়িত্ব। কিন্তু সব কিছু তো আমার হাতে নেই। তাই যখন বুঝতে পারি যে আমার জন্য ওদের সমস্যা হচ্ছে, তখন নিজেরই খারাপ লাগে। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজে যথা সম্ভব স্বাভাবিক থাকতে পছন্দ করি। মনে করি তাতে জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলিকে উপভোগ করা যায়। তাই সন্তানদেরও সেই শিক্ষা দিই।” তবে শাহিদ একা নয়, এই দলে রয়েছেন অভিনেতা আমির খান, অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা, রানি মুখোপাধ্যায় এবং সোনম কপূর। আরও একটু পিছিয়ে গেলে এমন উদাহরণ প্রযোজ্য মাধুরী দিক্ষিত, টুইঙ্কেল খন্নার ক্ষেত্রেও।

 

 

আরও পড়ুন –  জেলের ভিতর খুন করে উল্লাস মুসে ওয়ালার হত্যাকারীরা ,ধৃত জেল সুপার-সহ পাঁচ,

 

কখনও কখনও এমন সময় আসে, যখন জীবনের মানেটাই সম্পূর্ণ বদলে যায়। বয়স, অভিজ্ঞতা এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পাল্টে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। বাবা হিসাবে সন্তানদের পছন্দ-অপছন্দগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া কি সে কথা ভেবেই? শাহিদের মতে, “আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি যেমনটা ছিলাম, আজ থেকে পাঁচ বছর পর তেমনটা না-ও থাকতে পারি। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আজ যে বিষয়টিতে আপনি বেশি সময় বা গুরুত্ব দেবেন, ভবিষ্যতে তা-ই আপনার পরিচয় হয়ে উঠবে।”

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top