দুর্গাপুজোর আগে রাজ্য জুডে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই আবহে ইতিমধ্যেই সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। আর এই ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ। এডিস ইজিপ্টাই নামে এক বিশেষ প্রজাতির মশা হল এই রোগের বাহক। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে সারা বছরই এই মশা দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মানুষ নয়, এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড় থেকে পশুপাখির মধ্যেও ছড়াতে পারে ডেঙ্গি। বর্তমানে, দেশের বিভিন্ন অংশের মতো, পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি। কিন্তু, এই রোগ ছড়ানো মশাকে কীভাবে শনাক্ত করবেন? কীভাবে চিনবেন এডিস ইজিপ্টাই মশাকে? আসুন জেনে নেওয়া যাক –
আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপি অফিস ভাঙ্গা নিয়ে ফের শুরু বিতর্ক
কীভাবে চিনবেন এডিস ইজিপ্টাই মশা?
এডিস ইজিপ্টি মশা, অর্থাৎ ডেঙ্গির মশা হয় গাঢ় রঙের। পায়ে থাকে সাদা সাদা দাগ। বুকে বীণার তারের মতো দাগ থাকে। সাধারণ মশার থেকে আকারে ছোট হয় এডিস ইজিপ্টাই। দৈর্ঘ্য মাত্র ৪ থেকে ৭ মিলিমিটার। স্ত্রী মশারা পুরুষদের তুলনায় লম্বা হয়। এই মশা সাধারণত জমা জলে বা তার কাছাকাছি ডিম পাড়ে। ডিম থেকে সদ্য বের হওয়া লার্ভা, শেত্তলা, ছোট জলজ জীব, উদ্ভিদের কণা খেয়ে বেঁচে থাকে। শীতকালে এডিস ইজিপ্টাই মশা বাঁচে না। শুধুমাত্র গ্রীষ্ম বা বর্ষায় এই মশা ডিম পাড়ে। ডেঙ্গির মশা বেশিরভাগই দিনের বেলায় কামড়ায়। দিনের বেলায় এই মশা সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকে। সূর্যোদয়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পরের সময় এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা আগের সময়ই এই মশার কামড়ের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। শুধুমাত্র স্ত্রী মশারাই রক্ত খায়।
এডিস ইজিপ্টাই মশা সাধারণত শীতল, ছায়াময় স্থানে বিশ্রাম নেয়। বাড়ির ভিতর, আলমারি এবং বিছানার নীচে এদের থাকার সম্ভাবনা বেশি। সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ালেও, রাতেও কিন্তু এই মশা কামড়াতে পারে। সাধারণত গোড়ালি এবং কনুইয়ের মতো এলাকাগুলিতে কামড়ায় এডিস ইজিপ্টাই।
কীভাবে এডিস ইজিপ্টাই মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন?
প্রথম কাজ হল, বাড়ির ভিতরে বা আপনার আশেপাশের এলাকায় কোন প্রকার জল না জমতে দেও।
গাছের গায়ে কোটর থাকলে, তাও মাটি বা বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া উচিত।
পুরো হাতা এবং হালকা রঙের পোশাক পর।
ঘরের দরজা-জানালা যথাসম্ভব বন্ধ রাখুন।
নিয়মিত মশা তাড়ানোর ক্রিম, কয়েল এবং মশারি ব্যবহার করুন।